‌'বিয়ের জন্য পাত্রী চাই' শ্লোগান নিয়ে জেলা প্রশাসকের দরবারে যুবকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২২শে ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:২৭ অপরাহ্ন
‌'বিয়ের জন্য পাত্রী চাই' শ্লোগান নিয়ে জেলা প্রশাসকের দরবারে যুবকরা

‘দাদা পায়ে পড়ি রে মেলা থেকে বউ এনে দে’- মহারাষ্ট্রের এক ঘটনা যেন মনে করিয়ে দিয়েছে এই প্রচলিত গানটির কথাই। তবে এখানে ‘দাদার’ বদলে বউ এনে দেওয়ার আবদার করা হয়েছে স্বয়ং জেলাশাসকের কাছে। আর এমন অদ্ভুত আবদার করেছেন একদল অবিবাহিত যুবক। কিন্তু হঠাৎ এমন আবদারের কারণ কী? আসুন শুনে নিই।


বিগত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে কমেছে মেয়েদের সংখ্যা। যার ফলে, মহারাষ্ট্রে বিবাহযোগ্য পুরুষ থাকলেও দেখা নেই বিবাহযোগ্যা কন্যাদের। নারী পুরুষের অনুপাতেও দেখা দিয়েছে বিস্তর ফারাক। তাই বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে দেওয়ার দাবি নিয়ে সরাসরি জেলা শাসকের দরবারেই হাজির একদল অবিবাহিত যুবক। রীতিমতো শোভাযাত্রা করে বরের বেশে সরকারি দপ্তরে নিজেদের দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা।


শুনতে অবাক লাগলেও, সম্প্রতি এমনই কাণ্ড ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে। সেখানকার কিছু অবিবাহিত যুবক সম্মিলিত ভাবে গঠন করেছেন ‘ব্রাইডগ্রুম মোর্চা’ নামে একটি দল। সেই দলের তরফেই সোলাপুরের জেলাশাসকের কাছে একটি চিঠি জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে নারীর সংখ্যা। ফলত বিবাহযোগ্যা মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


এই মর্মে মোর্চার অভিযোগ, সন্তান জন্মের আগে গর্ভস্থ ভ্রুণের প্রকার জেনে নেওয়ার দরুন এমন বৈষম্য তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮৯ জন। আর এমন ভারসাম্যহীনতার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও অন্যায় ভাবে কন্যাভ্রুণ হত্যা করা হয়। সরকার তা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারেনি। সেই কারণেই রাজ্যে নারী-পুরুষের সংখ্যায় ভারসাম্য বজায় নেই। 


পাশাপাশি এই মিছিলে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে দেওয়ার আরজিও জানানো হয়েছে জেলাশাসকের কাছে।


তবে এমন গুরুতর বিষয় নিয়ে অভিযোগ করতে যাওয়ার সময় বেশ নাটকীয় এক ভঙ্গির অনুসরণ করেছিল ওই যুবকের দল। এদিন তাঁরা প্রত্যেকেই বিয়ের পোশাকে সেজে সরকারি দপ্তরে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল শোভাযাত্রাও। তাঁদের মতে এমনভাবে যাওয়ার কারণেই তাঁরা সকলের নজর পড়েছেন। তাই আপাত দৃষ্টিতে তাঁদের নিয়ে সকলে ঠাট্টা করলেও এতে তাঁদের আসল উদ্দেশ্য বেশ খানিকটা সফল হয়েছে। এবার সরকারের তরফে তাঁদের দাবি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা করা হয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।