দিন যত ফুরিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী হাওয়া ততো বেড়েই চলেছে। মনোনয়ন প্রাত্যাশীদের এখন ঘুম নেই। তারা সর্বদাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ফিরছেন। বিভিন্ন হাট বাজার ও দোকানপাটে এখন শুধু ভোট আর প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। কে হবে পরবর্তী পৌর পিতা। শরীয়তপুর পৌরসভায় নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন লাভের আশায় লবিং গ্রুপিং শুরু করছেন। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শরীয়তপুর পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ হিসেব মতে চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ইতোমধ্যে ১ম ধাপের ২৫ পৌরসভার নির্বাচন। ২য় ধাপে ৬১ পৌর সভা নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে শরীয়তপুর পৌরসভার নির্বাচনী তফসিল দেয়া হয়েছে। এখানে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে। তফসিল পেয়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বেশীর ভাগই ঢাকা মুখী হয়েছেন। তারা দলীয় শীর্ষ নেতা ও দলীয় এমপিদের সাথে দেখা সাক্ষাত ও লবিং করে তদবীর করছেন। শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভিপি নুরুল আমিন কোতোয়াল, বর্তমান মেয়র কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল,
জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এড. আলমগীর হোসেন মুন্সি, পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর,শরীয়তপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মোঃ বাচ্চু বেপারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাহাড় এর নাম শোনা যাচ্ছে। এদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এ্যাড.মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও পৌর বিএনপির সভাপতি এড. লুৎফর রহমান ঢালি।
জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদ সরদার। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই ব্যানার পোষ্টার বিলবোর্ড দিয়ে তাদেরকে প্রার্থীতার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। পাড়া মহল্লায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দেখা সাক্ষাত করে চলছেন।গত ২ ডিসেম্বর ২য় ধাপে নির্বাচনী তফসিলে শরীয়তপুর পৌরসভার নাম শোনার সাথে সাথে প্রার্থীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সারাক্ষন শহরে বিভিন্ন দোকাপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ হাটবাজারে একই কথা একই আলোচনা কে হবেন নৌকার কর্নধার আর কে হবেন পরবর্তী পৌর পিতা।
দেখার অপেক্ষায় ভোটাররা। প্রার্থীরা এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ভোটারদের সাথে দেখা সাক্ষাত করছেন। এলাকায় পাড়ায় মহল্লায় জনসংযোগ করছেন। দলীয় সকল কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন সহ পৌর এলাকায় ফেস্টুন বিলবোর্ড পোষ্টার দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানিয়ে দিয়েছেন।তারাও দলীয় নেতা কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন। তারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।তৃনমূল নেতাকর্মীদের ও সার্বিক সহায়তা প্রত্যাশা করছেন। আগামী ২০ ডিসেম্বর শরীয়তপুর পৌরসভার নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। আগামী ১৬ জানুয়ারী ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।