**বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলি: এক হাজারেরও বেশি নিহত, গ্রেপ্তার তালিকায় ৯২ কর্মকর্তার নাম**
গত জুলাই ও আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। এই ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকার পতনের পর থেকে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুই সাবেক আইজিপি, এ কে এম শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ-আল-মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলা হয়েছে এবং আরও অন্তত ৯২ পুলিশ কর্মকর্তার নাম গ্রেপ্তার তালিকায় রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ২৭৬টি মামলার তথ্য গণমাধ্যমের কাছে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের বিরুদ্ধে সাতটি এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ-আল-মামুনের বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১১টি এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করা হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা সংখ্যক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা হবে এমনটা ঠিক নয়। আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
গ্রেপ্তার তালিকায় আরও রয়েছেন, সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজি লুৎফর কবির, সাবেক র্যাব ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, এবং আরও অনেক পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ধাপে ধাপে তাদের গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দিনগুলোতে মামলা ও গ্রেপ্তারের এই প্রক্রিয়া কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সকলের নজর থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।