প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নতুন মাত্রা পেয়েছে। সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, ডাকসুর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের নির্বাচন ট্রেনে ওঠা শুরু হয়েছে এবং এর পর জাতীয় নির্বাচনও সামনে আসবে। তিনি সকলকে নির্বাচনের শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, ‘যে ভোট রাতেই করা যেত, সেটা কেন দিন পর্যন্ত রাখা হলো, সময়মতো কাজ করা জাতির জন্য বড় শিক্ষা’।
ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি দেশের সামগ্রিক নির্বাচনী সংস্কৃতির একটি আভাস প্রদান করছে। ফারুকী মন্তব্য করেন, ডাকসুর নির্বাচনের ফলাফল ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য শিক্ষণীয় উদাহরণ হতে পারে। তিনি বলেন, নির্বাচন শুধুমাত্র ভোটের মাধ্যমে নয়, বরং গণতান্ত্রিক মানসিকতা, ন্যায়বিচার ও আইনমাফিক আচরণের মাধ্যমেও দেশের যুবসমাজকে সজ্জিত করে।
এছাড়াও, ফারুকী উল্লেখ করেন যে, ডাকসু নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এটি দেশের নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের যুবসমাজ ভোটের গুরুত্ব ও দায়িত্ববোধ সম্পর্কে আরও সচেতন হবে।
উপদেষ্টার মতে, ডাকসুর নির্বাচনের মাধ্যমে যে শিক্ষণীয় দিক উঠে এসেছে, তা ভবিষ্যতের জাতীয় নির্বাচনে কাজে লাগানো সম্ভব। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, তবে তা জাতীয় পর্যায়েও গণতন্ত্রের দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করবে’।
ফারুকী আরও বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সকল অংশগ্রহণকারীরা ভোটের গুরুত্ব বুঝতে পারবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে উদ্বুদ্ধ হবে। তিনি সকলকে নির্বাচনের জন্য সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠা শুরু হয়েছে, যা আগামী সময়ে জাতীয় নির্বাচনেও পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে যাবে। তিনি সকল ভোটার ও প্রার্থীদের সুষ্ঠু, নিরাপদ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।
সংক্ষেপে, ডাকসু নির্বাচন কেবল ছাত্ররাজনীতির জন্য নয়, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এই নির্বাচন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ভবিষ্যতের জাতীয় নির্বাচনের জন্য পথপ্রদর্শক হতে পারে এবং দেশের যুবসমাজের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধের বিকাশ ঘটাবে।
এভাবে ডাকসু নির্বাচন দেশের নির্বাচনী সংস্কৃতিকে আরও দৃঢ় ও স্বচ্ছ করার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।