দাউদকান্দিতে প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১০ই জুন ২০১৯ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
দাউদকান্দিতে প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এক নারী পোশাক শ্রমিক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ পেয়ে রবিবার (৯ জুন) দাউদকান্দির বলদাখাল এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আসামিদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গোলাম রাব্বি ও রাব্বি আহাম্মদ নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় দুই এএসআই ও দুই কনস্টেবলসহ চারজন আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এর আগে, আল আমিন নামে অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শুক্রবার (৭ জুন) দিবাগত রাতে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মালিখিল এলাকার একটি মৎস্য খামারে ওই নারী কর্মীকে ৫-৬ জন যুবক সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পুলিশ ও মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী কর্মী চট্টগ্রাম শহরের পদ্মা গার্মেন্টসে অপারেটর পদে কাজ করতেন। বছর খানেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে দাউদকান্দির মালিখিল গ্রামের রমিজ মিয়ার ছেলে গোলাম রাব্বীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শুক্রবার রাব্বী ওই নারী কর্মীকে বিয়ে করবে জানিয়ে দাউদকান্দিতে চলে আসার কথা বলে। বিয়ের আশ্বাস পেয়ে রাতেই দাউদকান্দিতে এসে পৌঁছান ওই নারী কর্মী। এ সময় প্রেমিক গোলাম রাব্বী, তার বন্ধু আল আমিন ও রাব্বি আহাম্মদসহ কয়েকজন মিলে তাকে একটি সিএনজিযোগে মালিখিল এলাকার একটি মৎস্য খামারে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।

পরে ভিকটিমের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মালিখিল গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে আল আমিনকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী রবিবার বিকাল ৩টার দিকে দাউদকান্দির বলদাখাল স্লুইসগেট এলাকায় অভিযানে গেলে আসামিরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে গোলাম রাব্বী ও রাব্বি আহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়। গোলাগুলিতে এএসআই আমির হোসেন ও প্রদীপ এবং দুই কনস্টেবলসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন বলে দাবি করেছে পুলিশ।দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, তিন রাউন্ড গুলি, একটি রাম দা, একটি চাকু ও একটি ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর