ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সরকারি কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র ইকরাম হোসেনের নৃশংস হত্যা মামলার আসামি শিমুল, সাদী, সোহাগ, নাজমা বেগম ও নাজিম উদ্দিনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কলেজের শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় লোকজন। (১৬ আগস্ট)গতকাল সকালে এ খুনের ন্যায় বিচারের দাবি নিয়ে কালীকচ্ছ এলাকায় মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জানা যায়, গত রোববার সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বারজীবীপাড়ায় খালাতো বোনের বাসার খাটের নিচ থেকে ইকরাম হোসেনের লাশ বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সরাইল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় আসামী ইমরানুল হাছান সাদী(১৯), নাজিম উদ্দিন(৫৫) ও নাজমা বেগম(৪০) কে গ্রেফতার করে এবং বুধবার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিমুল ও সোহাগকে গ্রেফতার করে। এরমধ্য থেকে আসামী ইমরানুল হাছান সাদী(১৯) উল্লেখিত ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপরই বের হয়ে আসে হত্যাকান্ডের রহস্য।পুলিশ জানিয়েছে, ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় ইকরাম খুন হয়েছে।
এজাহারনামীয় পাঁচ আসামি জেলহাজতে আছে। এদের মধ্যে সাদী ব্যতীত বাকি চার আসামিকে রিমান্ডে আনা হবে।উল্লেখ্য, রোববার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বারজীবীপাড়া থেকে কলেজছাত্র ইকরামের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে ও সরাইল সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ইকরামের পাশের বাড়ির পাশেই খালার বাড়িতেই থাকতো ইকরাম। রোববার সকালে খালাত বোন লাভলী বেগম বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। পরে ঘরের ভেতরে তল্লাশি করে খাটের নিচে একটি বস্তা দেখতে পান। সেই বস্তার মুখ খুলে দেখেন ভেতরে তার মামাতো ভাই ইকরামের মরদেহ।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।