জামালপুরের জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানো ঠিক হয়নি বলে মনে করেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের খাস কামরায় সংঘটিত ঘটনায় কারো দোষ থাকলে বিচার প্রত্যাশিত হলেও ওই ভিডিওটি যারা ছড়িয়েছেন, তারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মাত্রা অতিক্রম করেছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ‘নুসরাত হত্যার সঠিক বিচার নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনবে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব বলেন সুলতানা কামাল।
সম্প্রতি ফেসবুকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরকে ওএসডি করার পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সুলতানা কামাল বলেন, এখানে আমাদের যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, পারস্পরিক সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হবে। সেটা যখন হয় না, সেটা তখন নির্যাতনের পর্যায়ে চলে যায়। নারীও নির্যাতকের ভূমিকায় থাকতে পারে, পুরুষও নির্যাতকের ভূমিকায় থাকতে পারে। কথা হচ্ছে, এখানে যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে যে, কেউ একজন আসলেই দোষ করেছেন, সেই দোষের বিচারটা যেন হয়।
তিনি বলেন, যারা এটাকে ভাইরাল করেছে, খুব একটা সুরুচির পরিচয় দেয়নি। সংস্কৃতিবান ব্যক্তি কিন্তু সংযমী হন। কতখানি সে করতে পারে, কতখানি সে করতে পারে না; কার প্রাইভেসিতে যুক্ত করতে পারে আর কতটুকু পারে না সেটাও। আমাদের সংস্কৃতি হয়ে গেছে, কে কাকে কীভাবে জব্দ করবে। প্রযুক্তির ব্যবহারেও জব্দ করার প্রবণতা এসেছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।