সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে ভূঞাপুরে বিভিন্ন এলাকায় মূর্তি বানানোর ধুম পড়েছে। মৃৎশিল্পীদের (কারিগর) দম ফেলানোর ফুসরত নেই। ইতোমধ্যেই প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরপর শুরু হবে রঙ ও সাজসজ্জার কাজ। ২৮ সেপ্টেম্বর শুভ মহালয় দিয়ে পূজার মূলকাজ শুরু হবে। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ষষ্ঠী দিয়ে পূজার অর্চনা ও দশমী দিয়ে শেষ হবে। এ অঞ্চলে প্রতিমা তৈরির কারিগররা মূলত ভূঞাপুর উপজেলার কয়েড়া ও কষ্টাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এসব কারিগররা ভূঞাপুরের বিভিন্ন মন্দিরের জন্য প্রতিমা তৈরি করছেন। কেউ কেউ মন্দিরের ভেতরে প্রতিমা তৈরি করছেন। আবার কিছু কারিগর তাদের নিজস্ব কারখানা তৈরি করে ভূঞাপুরের আশপাশের এলাকায় প্রতিমা বিক্রি করছেন ।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পী (কারিগর) খুশি পাল। সেখানে ভূঞাপুর উপজেলা ও আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন প্রতিমার দরদাম করছেন। কেউ অগ্রিম টাকা দিয়েছেন। আবার অনেকে পূর্বেই দরদাম ঠিক করে প্রতিমা তৈরির কাজ করাচ্ছেন। বাঁশ-কাঠ আর কাদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিমা তৈরি করছেন খুশি পাল। তিনি জানান, এক থেকে দের মাস আগে থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত ১২-১৪ টি প্রতিমা সেট তৈরি করেছেন। প্রতি সেটে দূর্গার সঙ্গে রয়েছে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, স্বরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মী প্রতিমা। তিনি আরোও জানান, একটা প্রতিমা সেট তৈরি করতে খরচ হয় ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। এখন বাঁশ, কাঠ, কাদা মাটিসহ প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম অনেক বেশি। তাই প্রতি সেট প্রতিমা তৈরিতে খরচ একটু বেশিই হচ্ছে। এখন ১৪ থেকে ২০ হাজার টাকায় প্রতিমা সেট বিক্রি হচ্ছে। বিক্রির পর মন্ডপে গিয়ে প্রতিমাগুলোকে আবার তুলির আঁচড়ে সুনিপুন কাজে রঙিন করে সাজিয়ে দিয়ে আসতে হবে।
ভূঞাপুর উপজেলার পৌর এলাকার কেন্দ্রীয় ভূঞাপুর বাজার হিন্দু যুব সংঘের কমিটির সভাপতি বাবু সনজিত কুমার দাস জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারোও ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে সার্বজনীন দূর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই মন্ডপে প্রতিমা স্থাপনের কাজ করছে। আশার করছি ভূঞাপুরের মধ্য আমাদের মন্ডপটি সর্বোচ্চ বাজেট দিয়ে করা হবে। ভূঞাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু সরণ দত্ত জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৫টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনী আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।