পদ্মা নদীর ভাঙন রক্ষা বাঁধে ২০০ মিটার ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:১৫ অপরাহ্ন
পদ্মা নদীর ভাঙন রক্ষা বাঁধে ২০০ মিটার ধস

শরীয়তপুরের নড়িয়া রক্ষা বাঁধের ২শ মিটার এলাকা জুড়ে ধসে পড়েছে। এতে একটি মসজিদ, ৭ টি বসত বাড়িসহ গাছপালা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে  নড়িয়া উপজেলার সাধুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আশপাশে বাসিন্দাদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দিনে আতংকিত হয়ে অন্তত ৭০টি বসত বাড়ি অন্যত্র সড়িয়ে নিয়েছে ভাঙন কবলিতরা।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানিয় সূত্র জানা যায়, এক সপ্তাহ যাবৎ পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে নদীতে পানি বেরেছে । এতে নড়িয়া রক্ষা বাধেঁর প্রায় ২শ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। শুক্রবার দুপুরে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও নড়িয়া- সখিপুরের এমপি এ কে এম এনামুল হক শামীম ভাঙন কবলিত এলাকা পরির্দশ করে।

ভাঙন এলাকার বাসিন্ধা আদনান দেওয়ান জানান, সন্ধ্যারদিকে হঠাৎ ২শ মিটার এলাকা নীচের দিকে দেবে যায়। এতে একটি মসজিদ, পাকা বাড়িসহ গাছপালা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এখনো থেমে থেমে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। আশপাশের বাসিন্দাদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আতংকিত হয়ে মানুষ ঘর বাড়ি আসবাপত্র অন্যত্র সড়িয়ে নিচ্ছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃঞ্চ সরকার জানান, আমরা নিয়মিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করি। কিন্তু কোথাও কোন ভাটল দেখি  নাই। হঠাৎ  সন্ধ্যায় প্রায় ২শ মিটার জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌচেছি। জরুরী ডাম্পিং শুরু করা হয়েছে।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, নড়িয়া উপজেলা নদী ভাঙন এলাকা, গত বছরও নদীর ভাঙনে ৫হাজার লোক গৃহহীন হয়েছে।পানি বারার কারনে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে কাজ চলছে। আপনারা দোয়া করবেন অতিদ্রুত যাতে ভাঙন রোধ করে নড়িয়াকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারি। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেছে ।

উল্লেখ্য, গত বছর নড়িয়া ও জাজিরায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছিল। ভাঙনে ওই এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অসংখ্য স্থাপনা বিলিন হয়ে যায়। ভাঙন ঠেকাতে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এক হাজার ৯৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্পর অনুমোদন করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নৌবাহীনির প্রতিষ্ঠান খুলনা শীপইয়ার্ড লিমিটেডকে ওই কাজের কার্যদেশ প্রদান করেন। যার মধ্যে ৫৫২ কোটি টাকা ব্যায়ে নড়িয়ার সুরেশ্ব হতে জাজিরার কায়ুম খার বাজার পর্যন্ত আট দশমিক নয় কিলোমিটার অংশে নদীর তীর রক্ষার কাজ। বাকি টাকা দিয়ে নদীর চরখনন করা হবে। গত বছর ১২ ডিসেম্বর বেঙ্গল গ্রুপ ওই প্রকল্পের নদীর তীর রক্ষার কাজ শুরু করেন।