অনলাইনে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। সেলিমের দুই সহযোগীরা হলেন আক্তারুজ্জামান ও রোকন। বুধবার মাদক মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। আসামিরা কারাগারে আটক থাকায় বৃহস্পতিবার তাদের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এর আগে বুধবার সকালে সেলিম প্রধানসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ পাচার আইনে মামলা দায়ের করে র্যাব-১। আসামিদের মধ্যে তিনজন উত্তর কোরিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও একটি মামলা করেছে র্যাব-১।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে ক্যাসিনো সেলিমকে আটক করে র্যাব-১ এর একটি দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে নিয়ে গুলশান-২ এ তার বাসা কাম অফিস ‘মমতাজ ভিশনে’ অভিযানে যায় র্যাব। প্রথমে সেলিমকে সঙ্গে করে ঘটনাস্থলে যায় র্যাবের তিনটি গাড়ি। পরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০টিতে। টানা ১৬ ঘণ্টা সেখানে অভিযান চলে। অভিযানের সময় সেলিম প্রধান ওই বাসার ভেতরে র্যাবের সঙ্গে ছিলেন।
পরে সোমবার রাতে গুলশানের বাসায় অভিযানে যায় র্যাব। অভিযানে সেলিমের অফিস ও বাসা থেকে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রাসহ বিদেশি মদ এবং অত্যাধুনিক ক্যাসিনোর সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এ ছাড়া অভিযানের সময় সেলিম প্রধানের কাছ থেকে হরিণের চামড়াও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এদিকে মঙ্গলবার হরিণের চামড়া রাখার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সেলিম প্রধানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।