অবশেষে সরাইল উপজেলার প্রধান সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত হল।সকাল-বিকালসব সময় যানজট লেগেই থাকতো। সম্প্রতি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় একাধিক বার এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হুয়ার পর আজ সরাইল সদরের প্রধান সড়কে জন সাধারণের চলাচলের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে চার ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ীর মালামাল জব্দের পর স্থানীয় দুটি মাদ্রাসায় এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করলেন সরাইল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকাএ ঘটনায় গিয়াস উদ্দিন নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আটক ব্যবসায়ী সদরের আলীনগর গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে ইউএনও এ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করেন। এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মায়মুনা জাহান ও সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক শাহ কামাল সহ সঙ্গীয় ফোর্স নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এখানে এসে সড়কের দুইপাশের ফুটপাত থেকে অন্তত ১০টি অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করেন। ফল ব্যবসায়ী নুর আমিন, আল আমীন, দানা মিয়া ও সাজু মিয়ার দোকানের মালামাল জব্দ করেন। এসময় ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে নিয়ে যান ম্যাজিস্ট্রেট। পরে জব্দকৃত ফলমূল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর গাড়িতে তোলে স্থানীয় জামিয়া ইসলামিয়া দারুল কোরআন এতিমখানা ও উচালিয়াপাড়া মাদ্রাসা এবং আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম আলীনগর মাদ্রাসা দুটির এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেন।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসারওউপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা রাতে সাংবাদিকদের জানান, এখানকার ফুটপাত অবৈধ দখল ও যানজটের বিষয়টি নিয়ে উপজেলাআইনশৃংখলা সভায় একাধিকবার আলোচনা হয়। আমি নিজে এসে তিন দিন তাদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে গেছি, তারপরও তারা এখানে ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। জব্দ করা ফলমূল এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। আটক ব্যবসায়ীকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।