বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়নি। এমনকি শহীদ বেদিতে পুষ্প স্তবক অর্পন, বিজয় দিবসের র্যালী, আলোচনা সভাসহ কোন কর্মসূচিও পালন করা হয়নি। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস, ভাষা দিবস ও জাতীয় শোক দিবসের কোন কর্মসূচি পালন হয়না পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চম্পাপুর ইউনিয়নের আল-আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দুপুর ১২টায় ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, পতাকা টাঙানো হয়নি ওই বিদ্যালয়ে। খালি পড়ে আছে পতাকা স্ট্যান্ড। পুরো বিদ্যালয় জুড়ে সুনশান নিরবতা। কক্ষগুলোতে ঝুলছে তালা। বিদ্যালয়ের মাঠে বিচরন করছে কয়েকটি গরু ছাগল। এছাড়া তিনটি শিশু স্কুল মাঠের এক কানায় ছুটোছুটি করছে। খালি পড়ে আছে শহীদ মিনার।
মাছুয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা সোহেল, জসিম তালুকদার ও রাসেল ডাক্তার জানান, কোন দিবসই পালন হয়না এ বিদ্যালয়ে। আজ বিজয় দিবসের দিনেও পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। বিষয়টি জানতে স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষকসহ প্রধান শিক্ষক এলাকার মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী জনান, শরীরচর্চা শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের পতাকা টাঙানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, কিন্তু শিক্ষকরা পতাকা টানায়নি এই দায়িত্ব আমি কেন নেব। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক শামসুল হকের মুডোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আল-আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চম্পাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, যোগ্যতাহীন প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় নির্দেশনা দেয়া সত্ত্বেও স্বাধীনতা দিবস, ভাষা দিবস এমনকি জাতীয় শোক দিবস পালন করেনা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।