ভোলার বোরহানউদ্দিনে অসময়ের টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে ৩ হাজার ৪ শত ৩৫ হেক্টর রবি শষ্যের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ১০ হেক্টর জমির রবি শস্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস নিশ্চিত করেছে। তবে ফসলের কত শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তারা নিরুপন করতে আরো দুই-তিনদিন সময় লাগবে বলে ওই সূত্র জানান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষকরা জানান, আলু চাষে এককালীন লগ্নী বলে ওই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র আরো জানায়, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের সাথে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পেলে কিছু ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। রোপন করা ৫ শত ৬০ হেক্টর আলুর মধ্যে ৪ শত ৩ হেক্টর আলু, ৬ শত ৮০ হেক্টর খেসারির মধ্যে ৩ শত ৭২ খেসারি, ১ শত ৮০ হেক্টর মসুর ডালের মধ্যে ৯২ হেক্টর মসুর ডাল, ৫ শত ৮০ হেক্টর সরিষার মধ্যে ২ শত ৯২ হেক্টর সরিষা, ১ শত ২০ হেক্টর ভূট্রার মধ্যে ৮৬ হেক্টর ভূট্রা, ৪ শত ২০ হেক্টর চিনাবাদামের মধ্যে ১ শত ৯৭ হেক্টর চিনাবাদাম ও ৫ শত ৮ শত হেক্টর জমির মৌসুমী সবজী দূর্যোগ কবলিত হয়েছে।
সরেজমিনে রোববার উপজেলার পক্ষিয়া, বড়মানিকা, কুতুবা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে অনেক কৃষক তাদের জমিতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনে ব্যস্ত। পক্ষিয়া আট নাম্বার ওয়ার্ডের আলু চাষী মহিবউল্লাহ জানান, তিনি ধার-দেনা করে সাড়ে তিন একর জমিতে বীজ আলু রোপন করেছেন। পানি জমে থাকায় আলুর অংকুরোদগম হলেও একসাথে সার প্রয়োগ করার কারণে সারের ক্রিয়ায় গাছ বাঁচবেনা। তার পার্শ্ববর্তী হেলালউদ্দিন, আবু বকর, সিদ্দিক মিয়ার একই অবস্থা। ওই কৃষকদের দুই একর খেসারী ও এক একর সরিষাও মাটির সাথে মিশে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, ক্ষতি সর্ব-নিম্ন পর্যায়ে রাখতে তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। কৃষকদের ফসলের কত শতাংশ ক্ষতি হয়েছে তা দুই-তিন দিনের মধ্যে জানা যাবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।