শীতে কাঁপছে দেশ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার ৮ই জানুয়ারী ২০২০ ১১:১২ পূর্বাহ্ন
শীতে কাঁপছে দেশ সারাদেশ

সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বির্পযস্ত ছিন্নমূল আর শ্রমজীবীদের জীবন। শীতের কারণে কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। ঘটছে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনা। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে শীত বস্ত্রের পাশাপাশি খাদ্য সহযোগিতাও প্রয়োজন। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন স্থবির। রাতভর কুয়াশা আর মেঘলা আকাশ শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দিনভর দেখা মিলছে না সূর্যের।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো যশোরেও চলছে শৈতপ্রবাহ। কনকনে শীতে জুবুথবু মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে চলছে শীত নিবারণের চেষ্টা। ঠাণ্ডার মধ্যেই জীবীকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে কর্মজীবী আর শ্রমজীবীদের। রাজশাহীতেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় নতুন করে জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় কষ্টে দিন কাটছে মানুষগুলোর।

তিনদিন ধরে হাড় কাঁপানো শৈত্য প্রবাহ রংপুরের বিভিন্ন এলাকায়। সঙ্গে আছে হিমেল বাতাস। ঘন কুয়াশায় যানবাহন দিনের বেলায়ও চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। আগুন পোহাতে গিয়ে ঘটছে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা। এদিকে প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা।

দ্বিতীয় দফা শৈত প্রবাহে সিরাজগঞ্জে বিপর্যস্ত জনজীবন। শিশু ও বয়স্করা যেমন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, তেমনি ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে ঠাণ্ডায়। অন্যতম মধু উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জে প্রচণ্ড শীতে মধু আহরণের মৌমাছি মরে যাওয়ায়, এবছর রেকর্ড পরিমান মধু আহরণ হবে না বলে আশংকা মৌ চাষিদের।

চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁওয়ে শৈত্যপ্রবাহ আর কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঠাণ্ডায় কাবু মানুষ প্রযোজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতবস্ত্র পাওয়ার আকুতি ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের। আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ সপ্তাহজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর