৩ কাউন্সিলর প্রার্থীর ১৫ লাখ টাকা জলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৮শে জানুয়ারী ২০২০ ১২:৪৮ অপরাহ্ন
৩ কাউন্সিলর প্রার্থীর ১৫ লাখ টাকা জলে

ফোনে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেওয়া প্রতারক চক্রের কাছে ১৫ লাখ টাকা খুইয়েছেন তিন কাউন্সিলর প্রার্থী। ভোটে জয়ের নিশ্চয়তার লোভে ৫ লাখ টাকা করে ১৫ লাখ টাকা নেওয়া হয় তিন প্রার্থীর কাছ থেকে। প্রতারিতদের একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ইয়াসিন মোল্লা। তার পক্ষে তার ছেলে কাওসার মোল্লা বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেছেন। তার মতো প্রতারকদের খপ্পরে পড়েন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কাশেম এবং পাশের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ডেইজী সারওয়ার।

ইয়াসিন মোল্লা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সেখানে দল-সমর্থিত প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে আছেন তিনি। এ ঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে আদাবর থানার ওসি কাজী শহিদুজ্জামান জানিয়েছেন।

এজাহারে বলা হয়, গত ২২ জানুয়ারি সকালে আদাবর থানার ওসির মোবাইল নম্বর থেকে কল করে ওসি পরিচয় দিয়ে ইয়াসিন মোল্লাকে ভোটে জেতাতে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন এক ব্যক্তি। এজন্য তিনি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে একটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। কিছুক্ষণ পর কথিত ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিনকে কল করে নির্বাচনে জেতানোর আশ্বাস দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা পাঠাতে বলেন। এর মধ্যে এখন ৫ লাখ ও নির্বাচনের পর ১০ লাখ টাকা দিতে বলেন।

ইয়াসিন তাতে রাজি হয়ে ১২ দফায় ৫ লাখ টাকা পাঠান। ওইদিন সন্ধ্যায় কথিত ম্যাজিস্ট্রেট আবারও ফোন করে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা চান। এতে সন্দেহ হলে ইয়াসিন ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ওসি শহিদুজ্জামান বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ইয়াসিন মোল্লাকে দ্রুত থানায় আসতে বলা হয়। ফোন নম্বর ক্লোন করে এ ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয়রা জানান, ইয়াসিন মোল্লার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কাশেম এবং পাশের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ডেইজী সারওয়ারের কাছ থেকেও একই চক্র অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, আমরা এই তিনজনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানতে পেরে আসামিদের ধরতে কাজ শুরু করেছি। এই চক্রের কেউ ধরা পড়লে তারা আর কার কার কাছ থেকে নিয়েছে তা জানা যাবে। আরও কেউ এভাবে অর্থ দাবি করলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর