আগামীকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৪শে মার্চ ২০২০ ০২:৩৬ অপরাহ্ন
আগামীকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট বন্ধ

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে আগামীকাল বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক।মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্র্তপক্ষকে। চারটি দেশ ও অঞ্চল ছাড়া বাকি সব দেশের ফ্লাইট আসা বন্ধ রয়েছে আগে থেকেই। যে চার দেশ ও অঞ্চল বাকি রয়েছে, তাদের মধ্যে হংকং থেকে আসা ক্যাথে প্যাসিফিক (ড্রাগন এয়ার) ২৮ মার্চ থেকে আর আসবে না বলে জানিয়েছে। আর থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে থাই এয়ারওয়েজের যে ফ্লাইটটি আসছিল, সেটিও বুধবার থেকে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ এখন আন্তর্জাতিক রুটের কেবল যুক্তরাজ্য ও চীনের ফ্লাইট আসবে দেশে।

এর আগে গত ২১ মার্চ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বার্তায় জানায়, দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তাররোধে ২১ মার্চ দিনগত রাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং ভারত থেকে কোনো শিডিউলড্ আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক উড়োজাহাজকে কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার অনুমতি দেয়া হবে না।ওই বার্তার ফলে যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড ও হংকং বাদে সব আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ ও ২৮ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ড ও হংকংয়ের ফ্লাইটও।

এদিকে, করোনা মোকাবিলায় আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে রেল, সড়ক ও নৌচলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশের সব জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাসটি। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৭৮ হাজার ৮৪৮ এবং মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫১৪ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক লাখ দুই হাজার ৬৯ জন।বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন তিনজন।

ইনিউজ ৭১/ জি.হা