সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া চ্যালেঞ্জ করে বলেন,অরুয়াইল বাজারে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে কারা দখল করেছে,তাদের নাম আমি যেমন জানি এখানে যারা আছে সবাই জানে। উনি যদি বলতে পারে। উনি সরকারি জায়গা দখল করে নাই,অনার দখলে সরকারি জায়গা নেই, অনি প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করলাম -!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের সরকারি জায়গা ও স্থাপনা অবৈধভাবে দখলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে না পারলেও তাদের অবৈধ দখলের কথা আমি সবাইকে আগেও বলেছি। কিন্তু কোনো ভাবে দখল বন্ধ করতেই পারিনা।অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে তার কার্যালয়ে গত বুধবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইউপি চেয়ারম্যান একথা বলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী আবু তালেব মিয়া সরকারি সম্পত্তি দখল করে নাই এমন কথা বলতে পারবেন না।এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া চ্যালেঞ্জ করে বলেন, অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবু তালেব মিয়া এখানে বাজারের পাশে ও তিতাস নদীর তীরে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি অবৈধ দখলের পর সেখানে ‘স’মিল ও ডক ইয়ার্ড নির্মাণ করেছেন।
বাজারের পাবলিক টয়লেট সহ বাজার এলাকায় তিতাস নদীর পাড়ে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গণঘাটলায় ও শেড নির্মাণ করে। শুধু তাই নয় তিনি কিছু,অসাধু ভূমি অফিসারকে ম্যানেজ করে সেই সরকারি জায়গা পেরিফেরি করিয়ে একসনা বন্দোবস্ত লিজ বিভিন্ন লোকের নামে এনে দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আরোও বলেন, গণঘাটলার উপর বালু ফেলে ভরাট করে সেখানে দোকান ভিটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তিতাস নদীর জায়গা দখলে নিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন।এদিকে কিছু দিন হয়,বাজারের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীসহ এখানকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা আবু তালেবের বিরুদ্ধে প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন আবু তালেব মিয়া।এই বাজারেই তিনি ব্যবসা করেছেন। এমনকি তিনি কয়েকদিনে আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়েছেন।হঠাৎ করে তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে? এলাকাবাসী যেমন জানে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খুঁজে বের করার দরকার।
গতকাল রাত সাতটায় এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে অরুয়াইল ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী আবু তালেব মিয়া এসব কথা অস্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান বাটপারি কথাবার্তা বলেছে। বাজারে আমার অনেক দোকান ভিট রয়েছে। আমি কেন যাব সরকারি জায়গা দখল করতে। অরুয়াইল বাজারে আমাদের ব্যক্তিমালিকানা একশ’রও বেশি দোকান ভিটি রয়েছে।
তবে সত্য বলতে কি, নদীরপাড়ে যারা দোকানপাট করেছে, তারা সকলেই কমবেশি নদীর জায়গা দখল করেছে। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমিও চাই বাজার দখলমুক্ত হউক।এই চেয়ারম্যান বড় বড় বলি মারে মানুষের পিছনে।আসলে নিজেই সেদুর্নীতিগ্রস্ত-!
এ প্রসঙ্গে সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ফারজানা প্রিয়াঙ্কা বলেন, সরকারি সম্পত্তি যারা দখল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নেওয়া হবে। কোনভাবে সরকারি জায়গা দখল করে রাখতে পারবে না।সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা'র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অরুয়াইল বাজারে সরকারি সম্পত্তিতে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। আজ হুক কাল হুক কাউকে সরকারি জমি দখল করতে দেওয়া হবে না। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।