বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মাসকাটা গ্রামের নিজাম সরদারের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী লিপি বেগমকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ১৩ জুলাই সোমবার গভীর রাতে নিজাম সরদারের নিজ বাড়িতে লিপি বেগম ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে। ধর্ষণকারী একই গ্রামের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে লম্পট ফারুক হাওলাদার। ঘটনার ব্যাপারে লিপি বেগম নিজে হিজলা থানায় উপস্থিত হয়ে ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে।
লিপি বেগম জানায়, ফারুক হাওলাদার লিপি বেগম কে গত ৮ বছর ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে, প্রায়ই লিপি বেগম কে ফারুক মুঠো ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিতিসহ নানান ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলো তার প্রস্তাবে রাজি না হলে লিপি বেগমের এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান সহ তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভয়ে লিপি বেগম ফারুক হাওলাদারের প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হন। এই ঘটনার এক বছর পূর্বেও মধ্যরাতে নিজাম সরদারের ঘরে ফারুককে লিপি বেগমের সাথে আটক করে এলাকার কিছু জনগণ।
কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ফারুক পারপেয়ে যায় এবং ফারুকের পরিবার লিপি বেগমকে ঘটনাটি ধামা-চাপা দেয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। ফারুকের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার, এই বিষয়ে জানতে পেরে লিপি বেগমকে ছেলের পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে চাননি, অপরদিকে ফারুকের মা ভুক্তভোগী লিপি বেগমকে তার ছেলের পুত্রবধূ করে আনবে বলে স্বীকার করেন। কিছুদিন অতিবাহিত হলে টাকার বিনিময়ে সব ধামাচাপা দিয়ে দেয় ধর্ষক ফারুকের পরিবার।
লিপি বেগম অসহায় হয়ে বাবার বাড়ি চলে গেলে স্বামী নিজামের হাত পা ধরে ক্ষমা চেয়ে স্বামীর ঘরে আবার ফিরে আসেন। এরপর বখাটে ফারুক আবারও বিভিন্ন ধরনের পায়তারা শুরু করে, এক পর্যায়ে ফারুক লিপি বেগমের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে বার বার ফোন দিয়ে লিপির মন গলানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে লিপি বেগম ফারুকের ফোনে কুপ্রস্তাবে কোন প্রকার সাড়া দিলে সন্তান সহ লিপেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
লিপি বেগম ফারুককে জোর অনুরোধ করে বলে, দয়া করে আপনি আমার স্বামীর ঘর ভেঙ্গে দিবেন না, আমার দুটি সন্তান রয়েছে, জবাবে ফারুক বলে ওয়াদা দিলাম তোমার স্বামী তোমাকে মেনে না নিলে আমি তোমাকে সন্তান সহ স্ত্রী হিসেবে মেনে নিব। তার পরও লিপি বেগম কোন প্রকার তাকে প্রশ্রয় দেয়নি।
এসময় ফারুক ফোন দিয়ে লিপির কাছে জানতে চায় তার স্বামী বাড়ি থেকে কর্মস্থলে কবে যাবে। ১২ জুলাই রবিবার স্বামী নিজাম ভোলার উদ্দেশ্যে চলে যায়। ফারুক সেই সুযোগে ১৩ জুলাই সোমবার গভীর রাতে লিপির ঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরে মুখ থেকে ফারুকের হাত সরিয়ে চিকিৎসা দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ফারুক পালিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।