স্বেচ্ছাশ্রমে আশাশুনির শ্রীউলার বিকল্প রিং বাঁধের কাজ সম্পন্ন’র পথে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:০৭ অপরাহ্ন
স্বেচ্ছাশ্রমে আশাশুনির শ্রীউলার বিকল্প রিং বাঁধের কাজ সম্পন্ন’র পথে

আশাশুনির শ্রীউলায় সকল জল্পনা-কম্পনার অবসান ঘটিয়ে বিকল্প রিং বাঁধের কাজ সম্পন্ন হতে চলেছে।রিং বাঁধের কাজ শেষ হলে শ্রীউলা ইউনিয়নের বৃহত্তর এলাকাসহ আশাশুনি সদর ইউনিয়ন প্লাবনের হাত থেকে সাময়িকভাবে রক্ষা পাবে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে এলাকার খোলপেটুয়া নদীর অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও অবিরাম বৃষ্টিপাতে উপজেলা সদরের দয়ারঘাট, শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলিয়া-কোলা, হাজরাখালি ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের হরিষখালিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পাউবো’র বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে প্রবল ¯্রােতে লোনা পানি ভেতরে প্রবেশ করে।

এতে প্রথমেই শ্রীউলা ইউনিয়নের ২২ টি গ্রাম, আশাশুনি সদরের ৯ টি গ্রাম ও প্রতাপনগরের ২ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে একাকার হয়।পরবর্তীতে জোয়ার ভাটার তোড়ে প্রতাপনগরের প্রায় সব গ্রাম, শ্রীউলা ইউনিয়নের শ্রীউলা, মহিষকুড় গ্রাম বাদে প্রায় সব এলাকা পর্যায়ক্রমে ডুবে প্লাবিত হয়।সরকারি নির্দেশনায় সেনা বাহিনী দায়িত্ব নিয়ে বিকল্প বাঁধ নির্মানে কার্যক্রম শুরু করে।কিন্তু বিধি বাম, সঠিক সিদ্ধান্ত আর পরিকল্পনার অভাবে বাঁধের বেশ কিছু কাজ করলেই গোনে পানির চাপে তা ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।

ফলে তিন মাস অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশ সেনা বাহিনী গত ঈদ-উল-আজহার আগেই সকল কার্যক্রম তাৎক্ষনিকভাবে বন্ধ করে দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যায়।এরপর গত অমাবশ্যা গোনে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাড়িয়ালা-হাজরাখালি সড়ক ও স্বেচ্ছাশ্রমে করা ওই সড়কে বিকল্প রিং বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে ইউনিয়নের মহিষকুড়, শ্রীউলা, পুইজালাসহ আশাশুনি সদরের হাড়িভাঙ্গা, বলাবাড়িয়া, গাইয়াখালি, শীতলপুর, কোদমন্ডা, আদালতপুরসহ বেশ কিছু গ্রাম পানিতে ডুবে প্লাবিত হয়।বাড়ী ছাড়া হয় কয়েক হাজার পরিবার। বানভাষি মানুষের হাহাকার শুরু হয়। 

ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজার হাজার একর মৎস্য ঘের গৃহপালিত পশু, আর বসবাসের ঘরবাড়ি, পুকুর।মানুষ, শিশু আর গা খাদ্যের প্রচন্ড অভাব দেখা দেয়। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, এনজিও সুশিলন ও ব্যক্তি উদ্দ্যোগে ত্রানের ব্যবস্থা করলেও চাহিদার তুলনায় অত্যান্ত অপ্রতুল। সর্বশেষে বিভাগীয় কমিশনার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে এলাকার বৃহত্তর অংশকে রক্ষার্থে মাড়িয়ালা থেকে কোলাগামী সড়কের উপর দিয়ে রিং বাঁধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কিন্তু বাঁধ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হলে কিছু মানুষ বিশেষ করে রিং বাঁধের বাইরে থাকা মানুষের একটি অংশ কাজে বাধ সাধেন।অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অসহায় মানুষের দুঃখ দুদর্শার কথা বিবেচনা করে আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের মানুষকে নাকতাড়া বাজারে একত্রিত করে আলোচনান্তে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করে বিকল্প বাঁধের উদ্দ্যোগ নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল। 

এখবরে দীর্ঘদিনের পানি বন্ধি সহায় সম্বল হারা মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসে।উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিমের আশ্বাস ও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার পিরোজপুরে পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও সমাজে পিছিয়ে পরা নারীদের নিয়ে কাজ করবে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতিসৈয়দ বশির আহম্মেদ, পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)’র উদ্যোগে পুলিশ লাইন্সের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর পুনাক সভানেত্রী ও পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খানের সহধর্মীণী মিসেস রুবাইয়াৎ লতিফ জেলা পুলিশ লাইন্সের পুকুরে বিভিন্ন জাতের ১মণ মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। 

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর দপ্তর কাজী শাহনেওয়াজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশের কর্মকর্তা ও তাদের সহধর্মীণীরা।এসময় পুনাক সভানেত্রী মিসেস রুবাইয়াৎ লতিফ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)। নারীদের সামাজিকভাবে উন্নয়ন ও স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তোলা লক্ষ্যে কাজ করে আসছে।পিরোজপুরে আগামীতে অসহায় ও পিছিয়ে পরা নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।