আমদানি খবরে হিলিতে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমলেও দাম বেড়েছে সবজির

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: সোমবার ৬ই মে ২০২৪ ১০:১৪ অপরাহ্ন
আমদানি খবরে হিলিতে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমলেও দাম বেড়েছে সবজির

দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে হিলি বন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়িরা আমদানির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন ও করেছেন বলে জানান ব্যবসায়িরা। ৭০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা।


সোমবার (৬ মে) সকালে হিলির সবজির বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসয়িদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৩০ টাকা কেজি দরের পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ৬০ টাকা কেজি দরের করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি দরের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ৪০ টাকা দরের  আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এভাবে সবধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে।


বাজারে সবজির কিনতে আসা মাজেদুল ইসলাম বলেন, যেভাবে সবজির দাম বাড়ছে, এতে আমাদের মতো নিম্নবিত্তের মানুষদের খুব কষ্ট হচ্ছে। দিন যে কয় টাকা আয় হয়, সবজি কিনতেই শেষ। মাছ মাংসের কথা তো ভাবাই যায় না।তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে যে বেগুন ১০ টাকা কেজি কেনার লোক ছিল না, সেই বেগুন আজ ৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।


হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শাহেদ বলেন, ভারত পেঁয়াজ আমদানি হবে এমন হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এতে আমাদের ভালো হয়েছে। দুই দিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৭০ টাকা কেজি। আজ সেই পেঁয়াজ কিনলাম ৬০ কেজি।


বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ বলেন, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় যে কোন দিন হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে এমন খবরে হিলিতে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমেছে। কেজি প্রতি ১০ টাকা কমিয়ে বর্তমানে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমে আসবে বলে মনে হচ্ছে।


সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় এসব সবজির আবাদ হয় না। পাশের উপজেলা বিরামপুর বা পাঁচবিবি থেকে এসব সবজি পাইকারি কিনে এনে হিলিতে বিক্রি করতে হয়। মোকামেই সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে। তাই আমাদেরও কেজিতে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।


সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনলেও পরিবহন খরচ আরও ৫ টাকা পড়ে। আর কেজিতে ৫ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। অনেক সময় বিক্রি না হলে কাঁচা সবজি পচে নষ্ট হয়ে যায়। তখন আবার লোকসানের মুখে পড়তে হয়।