ভারতে গিয়ে ডাকাতি, গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ৫ই মে ২০১৯ ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
ভারতে গিয়ে ডাকাতি, গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশি

বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগে  দিল্লিসহ ভারতের একাধিক রাজ্যে আসতেন। এরপর ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে গ্রেফতারের এড়াতে ফের বিমানে করেই দেশে ফিরতেন তারা। একাধিকবার এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকেও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বহাল তবিয়তে ছিলেন। অবশেষে দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন তিন বাংলাদেশি নাগরিক।  এরা হলেন, কামরুল কামাল (৪২), শহিদুল ইসলাম (৩৮) এবং নজরুল (৩৬)। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে চুরি যাওয়া মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুইটি দেশি পিস্তল, চারটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) রাম গোপাল নায়েক বলেন, ‘দিল্লিসহ ভারতের একাধিক রাজ্যে ডাকাতির ঘটনায় একটি বড় চক্র জড়িত, যার সদস্য হলেন ওই তিন বাংলাদেশি। তাদেরকে গ্রেফতার করে ওড়িষ্যার ভুবনেশ্বর, কর্নাটকের ধারওয়াদ ও বেঙ্গালুরু, উত্তরপ্রদেশের লখনউ ও আগ্রায় পাঁচটি ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।’ পুলিশ জানিয়েছে দিল্লিসহ অন্যরাজ্যে অপরাধ সংগঠিত করেই তারা বাংলাদেশে গা ঢাকা দিত। এরকম একাধিক ডাকাতির ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশ জানতে পারে যে কামরুলের নেতৃত্বেই একটি চক্র ভারতে অত্যন্ত সক্রিয়। এরপরই তাদের সন্ধানে ফাঁদ পাতে পুলিশ। শুক্রবার রাতে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই সরাইকালে খান এলাকা থেকে ওই তিনজন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি দেশি পিস্তল, চারটি গুলি উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাদে জানা গেছে যে দিল্লিসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।  রাম গোপাল নায়েক বলেন, ‘তাদের পাসপোর্ট অনুযায়ী কামরুল ২০১৭ সাল থেকে মোট আটবার ভারতে আসে। এই সময়ের মধ্যে শহিদুল তিন বার ভারতে আসেন। অন্যদিকে নজরুল বাংলাদেশের এক দালালকে ৫০০০ রুপির বিনিময়ে ভারতে প্রবেশ করে।’ 

জানা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দিল্লির কারাগারে, পরে ২০১১-২০১৭ সাল পর্যন্ত মুজাফফরনগরের কারাগারে বন্দি ছিলেন কামরুল। নজরুলের বিরুদ্ধে ২১ টি মামলা রয়েছে, যেখানে শহিদুলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি, অস্ত্র আইনের ৬ টি মামলা রয়েছে।  আটক বাংলাদেশিদের মোডাস অপারেন্ডি নিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের এই চক্রটি মূলত উন্নত মানের কলোনিগুলিকে টার্গেট করতো। জানালার গ্রিল কেটে তারা ভিতরে ঢুকতো, এরপর বাড়ির সদস্যদের মারধর করে মূল্যবান জিনিস লুট করে পালিয়ে যেতো। বাড়ির কোন সদস্য যদি তাদের বাধা দিতো, তাদেরকে খুন করতেও পিছপা হতো না। ওই তিন বাংলাদেশি রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতো বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব