৬টি নোবেল,১টি অস্কার নিয়ে বিশ্বমঞ্চে কলকতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: বুধবার ২৩শে অক্টোবর ২০১৯ ০৯:২৩ অপরাহ্ন
৬টি নোবেল,১টি অস্কার নিয়ে বিশ্বমঞ্চে কলকতা

দাদাদের সাধের শহর কলকতা। কলকতা শহরকে নিয়ে গর্বের কোনও শেষ নেই বাংলা এবং বাঙালির। তবে কলকতা শুধু বাংলা এবং বাঙালির মধ্যে যে সীমাবদ্ধ নেই তা বহুদুন আগেই জেনে গেছে বিশ্বমঞ্চ।

সংস্কৃতি,সাহিত্য, পড়াশুনা,সকল বিষয়ে ছাপিয়ে যেতে পেরেছে পৃথিবীর বড় বড় শহর গুলোকে। আরও এক বাঙালি নোবেল পাওয়ার পর, নতুন ইতিহাস রচনা করেছে কলকতা শহর। ব্যাপারটা অনেকটা অবাগ হওয়ার মতোই,তবে সত্যিটা হল,গোটা বিশ্বে  কলকতাই একমাত্র শহর যার ঝুলিতে রয়েছে ৬টি নোবেল ও ১টি অস্কার!  বিশ্বমঞ্চে কলকতাই একমাত্র শহর যারা এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। কলকতা যে ৬টি নোবেল পেয়েছি তার সবকটি যে বাঙালির হাত ধরে তা কিন্তু নয়। এই ৬ জন নোবেল জয়ীর মধ্যে এমনও আছেন যিনি কলকতায় কাজ করে বা কলকতায় থেকে নোবেল জিতেছেন। অর্থাৎ যিনিই নোবেল পেয়েছেন  তার সঙ্গে কলকতার যোগাযোগ রয়েছে সরাসরি।  এ শহর থেকে যাঁরা ৬টি নোবেল  পেয়েছেন তাঁরা হলেন, রোনাল্ড রস,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সিভি রমণ,মাদার টেরেসা,অমর্ত্য সেন ও সবশেষ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কলকতার একমাত্র অস্কার জয়ী হলেন সত্যজিত রায়।

নোবেল পুরস্কার
রোনাল্ড রস(মেডিসিন) : ম্যালেরিয়া এবং তার উদ্ভব মশা থেকে, এই তথ্য আবিষ্কার করে ১৯০২ সালে নোবেল পুরস্কার পান রোনাল্ড রস।ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে ভারতীয় মেডিক্যাল সার্ভিসের সদস্য ছিলেন তিনি।১৮৯৮ সালে কলকতায় এসে নিজের রিসার্চ শুরু করর এই সাফল্য অর্জন করেন রোনাল্ড রস।সেটি কলকতার প্রথম নোবেল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (সাহিত্য) : প্রথম 'নন- ইউরোপিয়ান' এবং 'নন-ওয়াইট' হিসেবে ১৯১৩ সালে সাহিত্য নোবেল পুরস্কার পান বাঙালির গর্ব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।নিজের সৃষ্টি গীতাঞ্জলীর ইংরেজি অনুবাদের জন্য এই সম্মান ভূসিত হন তিনি।
সিডি রমণ(পদার্থবিদ্যা) : শুধু কলকতা নয় গোটা এশিয়া মহাদেশে প্রথম হিসেবে ১৯৩০ সালে বিজ্ঞানে নোবেল পান চন্দ্রশেখ্র ভেস্কাটা সিভি রমণ।১৯০৭-১৯৩৩ সাল পর্যন্ত বউবাজারের ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিখ্যাত 'রমণ এফেক্ট 'এর প্রবর্তক হিসেবে পদার্থবিদ্যা এই সম্মান পান তিনি।
মাদার টেরেসা (শান্তি): আলবেনিয়ান খ্রীষ্টান মাদার টেরেসা ১৯৭৯ সালে শান্তির জন্য নোবেল পান। গরীবের নিয়ে যে কাজ তিনি করে গিয়েছেন তা গোটা বিশ্বের কাচজে উদাহরণস্বরুপ। ১৯৫০ সালে তিনি শুরু করেন 'মিশনারিজ অব চ্যারিটি' বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ফাউন্ডেশন থাকলেও তার হেড অফিস কলকতা শহরে।
অমর্ত্য সেন(অর্থনীতি) : ১৯৯৮ সালে প্রথম  বাঙালি অর্থনীতিবিদ হিসেবে নোবেল পান অমর্ত্য  সেন। তাঁর জন্ম ছিল শান্তিনিকেতন এবং দেশভাগের আগে ঢাকায় তিনি পড়াশুমা করেন।ব্রিটেন এবং আমেরিকায় বেশিরভাগ কাজ তিমি করলেও পরবর্তী  সময়ে নিকের শহর কলকতাতেই ফিরে আসেন তিনি।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়(অর্থনীতি): ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে এমাইটি-তে কর্মকরত অভিজিৎ বিনায়ল বন্দ্যোপাধ্যায় অমর্ত্য সেনের পরে দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন।২০১৩ সালে অভিজিৎ ও তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো যুগ্নভাবে' আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশান ল্যাব'  গড়ে তুলেছিলেন বিশ্বের দারিদ্র নিয়ে গবেষ্ণাএ জন্যে। তাঁদের পরীক্ষামূলক গবেষণাকেই সম্মান জামাচ্ছে নোবেল কমিটি।
অস্কার :
সত্যজিৎ রায়: কলকতা,বাংলার ও বাঙালির একমাত্র অস্কারজয়ী হলেন বিশ্বখ্যাত পরিচাল্ক হিসেবে অস্কার জয় করেন তিনি। শারীরিক ভাবে অসুস্থতার জন্য তিনি অস্কার মঞ্চে উপস্থিত না থাকতে পারায় কলকতায় এসে তাঁকে অস্কার দিয়ে যায় একাডিমি।বিশ্ব চলচিত্রে অসামান্য অবাদানের জন্য 'লাইফটাইম এচিভমেন্ট' অস্কার পান সত্যজিৎ রায়।

ইনিউজ৭১/জিয়া