করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।বুধবার দুপুর একটার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
গত ১৯ নভেম্বর নিউমোনিয়াজনিত কারণে বিএনপির এই নেতাকে ঢাকার এভার কেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মৃত্যুর খবর শুনে অনেকে হাসপাতালে ছুটে গেছেন।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামহ ছিলেন জমিদার চৌধুরী মঈজউদ্দীন বিশ্বাস। তার পিতা ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া) একজন বিশিষ্ট মুসলিম লীগ নেতা ছিলেন। তার চাচা চৌধুরী আবদুল্লাহ জহিরউদ্দীন (লাল মিয়া) আইয়ুব খানের সরকারে মন্ত্রিসভায় ছিলেন এবং অন্য চাচা এনায়েত হোসেন চৌধুরী পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এতে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে তিনি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৯১ সালে তিনি আবার নির্বাচিত হন এবং বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জিতে তিনি খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী হন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।