বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে দুদকের কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ২২শে এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৫০ অপরাহ্ন
বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে দুদকের কার্যক্রম শুরু

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য জানিয়েছেন।


খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ৩১ মার্চ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে একটি প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু গণমাধ্যমে একই অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছে।


 খোরশেদা ইয়াসমীন আরও বলেন, গত ১৮ এপ্রিল দুদকে একটি সভা হয়। সেখানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিবেচনায় নিয়ে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। দুদক আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বেনজীবীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা হলেন, উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।


এদিকে বেনজীর আহমেদের সম্পদের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন একজন আইনজীবী। ওই রিটে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ ও ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান আবেদনকারী হিসেবে গতকাল রোববার এই রিট করেন।


রিট দায়েরের বিষয়টি জানিয়ে আজ আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন গণমাধ্যমে বলেন, ‘প্রকাশিত ওই সংবাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চেয়ে ৪ এপ্রিল দুদকের কাছে আবেদন করা হয়। এতে ফল না পেয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ১৮ এপ্রিল দুদক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এর কোনো জবাব না পেয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।


সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘বলছি না বেনজীর আহমেদ অবৈধভাবে বা দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন বা করেননি। তবে প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান হওয়া উচিত। কারণ, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জনগণ মনে করেন, পুলিশের সাবেক আইজিপি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদক অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিলে এই বিষয়ে প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটিত হবে। আইন দুদককে স্বেচ্ছায় অনুসন্ধানের ক্ষমতা দিয়েছে।’


চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।