বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে যমুনা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নাজমুল হুদা বলেন, যমুনা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে কিছু বিজ্ঞাপন তার মালিকানাধীন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’ ছাপা হয়। ওই বিজ্ঞাপনের বিল হিসেবে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ কোম্পানি মর্গানেট ওয়ান লিমিটেড প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা পত্রিকার অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের সময় সেনা সমর্থিত সরকার ওই ৬ লাখ টাকাকে ঘুষ হিসেবে উল্লেখ করে মামলা করেছিল। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হলে আদালত মামলাটি বাতিল করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল করে। জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৮ জুন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদার বিরুদ্ধে দুদক এ মামলাটি দায়ের করে। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মর্গানেট ওয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ১৯টি চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।