রাষ্ট্রপরিচালনায় থাকলে সাধারণত দলের জনপ্রিয়তা কমে যায়। কিন্তু, আমাদের (আওয়ামী লীগের) জনপ্রিয়তা অতীতের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকেই সমর্থন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় একথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে সাধারণত মানুষের কাছ দল হারিয়ে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর তা আরও বেড়েছে। জনপ্রিয়তার কারণেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়েছে। নবীন ভোটারও আওয়ামী লীগকে তাদের সেবা করার জন্য ভোট দিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্যের নিয়ে আটটি বিভাগে কমিটি গঠন করেছি। কমিটির দায়িত্ব থাকবে তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগকে আরও মজবুত করে গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনকে ঐক্যফ্রন্ট মনে করেছে ব্যবসা। টিকেট বেচে তারা কিছু পয়সা কামাই করে নিয়েছে। এজন্যই তাদের এই হাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ছোয়া আজকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশ আজকে ক্ষুধামুক্ত, দেশ আজকে দারিদ্রমুক্ত হবার পথে। আমরা প্রায় ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে দারিদ্রের হার নামিয়ে এনেছি।মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ছে। সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।