‘আওয়ামী লীগ গোটা দেশকে ক্যাসিনোর আসর বানিয়ে দিয়েছে। ব্যাংক লুট করেছে, শেয়ার বাজার লুট করেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিয়েছে। এসবের চেয়েও ভোট ডাকাতি করে আরও বড় অপরাধ করেছে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্ণচুড়া চত্বরে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা সুইচ ব্যাংকে জমা হয়েছে। যারা ক্ষমতায় তারাই টাকা জমিয়েছে ওই সুইচ ব্যাংকে। জুয়ার টাকা পাচার করে এখন বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে গায়ের গন্ধ দূর করতে চাইছে এই অবৈধ সরকার।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২০০৮ সালের আগে জনগণকে অনেক আশ্বাস দিয়েছিল এই আওয়ামী লীগ। কিন্তু একটি কথাও রাখেনি। শুধু প্রতারণা করেছে। বলেছিল জনগণের নিরাপত্তা থাকবে, মানবাধিকার থাকবে। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এখন কেউ কাউকে ভোট দেয় না। ওই রাষ্ট্রীয় বাহিনী এখন ভোট দিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে করে তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করছে, অধিকারকে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে, সংসদে মিথ্যা আইন তৈরি করছে তাদেরকে প্রতিরোধ করুণ।
এর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মী নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকে। এসময় নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। নানা নাটকিয়তার পর সমাবেশের তিন ঘণ্টা আগে অনুমতি পায় বিএনপি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করাসহ ৯ শর্তে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ প্রশাসন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সভা মঞ্চ তৈরিকালে বাধা দেয় পুলিশ।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমাবেশের দিন সকাল থেকেই নতুন বাজারস্থ বিএনপি কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জোরদার করা হয় বাড়তি নিরাপত্তা। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই নগরীর বিভিন্নস্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায় মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বও চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।