নবিজির (সা.) কন্যা সন্তান কতজন ছিল?

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ১১ই জানুয়ারী ২০২৩ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
নবিজির (সা.) কন্যা সন্তান কতজন ছিল?

অনেকেই জানেন না যে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কন্যা সন্তান কতজন ছিল কিংবা কন্যা সন্তানদের নামই বা কী?


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সর্বমোট তিন ছেলে ও চার মেয়ে ছিল। মেয়ে সন্তানদের নাম যথাক্রমে-

১. হজরত জয়নব রাদিয়াল্লাহু আনহা

২. হজরত রুকাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা

৩. হজরত উম্মে কুলসুম রাদিয়াল্লাহু আনহা ও

৪. হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা। (ইবনু হিশাম ১/১৯০)


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সর্বমোট তিন ছেলে ও চার মেয়ে ছিল। ইবরাহিম ছাড়া বাকি ছয় সন্তানের সবাই ছিলেন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার গর্ভজাত। তিনি বেঁচে থাকা অবধি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্বিতীয় বিবাহ করেননি। (ইবনু হিশাম ১/১৯০; মুসলিম, হাদিস : ২৪৩৬)


হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার গর্ভে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রথম সন্তান ছিলেন কাসেম। তাঁর নামেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপনাম ছিল আবুল কাসেম। এরপর কন্যা জয়নব জন্মগ্রহণ করেন।


তারপর ছেলে আবদুল্লাহ, যার লকব ছিল তাইয়িব ও তাহের। কারণ তিনি নবুয়ত লাভের পর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এরপর রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতেমা। কাসেম ছিলেন সন্তানদের মধ্যে সবার বড়। যিনি ১৭ মাস বয়সে মারা যান।


তবে চার কন্যার মধ্যে কে সবার বড় ও কে সবার ছোট এ নিয়ে মতভেদ আছে। তবে প্রসিদ্ধ মতে, জয়নব বড় ও ফাতেমা ছিলেন ছোট।


উল্লেখ্য, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মোট সাত সন্তানের ছয়জনই তাঁর জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁদের মধ্যে পুত্ররা শৈশবে মারা যান। কন্যারা সবাই বিবাহিতা হন ও হিজরত করেন। কিন্তু ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা ছাড়া বাকি তিন কন্যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর ছয় মাস পর ফাতেমা (রা.) মারা যান।


রাসুল (সা.)-এর সর্বশেষ সন্তান ছিলেন পুত্র ‘ইবরাহিম’। তিনি ছিলেন মিসরীয় দাসী মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভজাত। যিনি মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন এবং দুধ ছাড়ার আগেই মাত্র ১৮ মাস বয়সে ১০ম হিজরির ২৯ শাওয়াল মোতাবেক ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ২৭ অথবা ৩০ জানুয়ারি সূর্য গ্রহণের দিন সোমবার মদিনায় ইন্তেকাল করেন। (বুখারি, হাদিস : ১০৬০; মুসলিম, হাদিস : ৯০৬; রহমাতুল্লিল আলামিন : ২/৯৮)