ভালো কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা সুন্নাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
ভালো কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা সুন্নাত

আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) নিজের সব কাজ যথাসম্ভব ডানদিক থেকে শুরু করতে পছন্দ করতেন। পবিত্রতা অর্জন, মাথা আঁচড়ানো, জুতা পরিধান ইত্যাদি কাজ তিনি ডান দিক থেকে শুরু করতেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)


শিক্ষা ও নির্দেশনা


১. যে কোনো ভালো কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা উত্তম। নবিজি (সা.) তার ভালো কাজগুলো ডান দিক থেকে শুরু করতেন। আয়েশা (রা.) এ হাদিসে তিনটি কাজের কথা উল্লেখ করেছেন। এক. পবিত্রতা অর্জন বা অজু করার সময় ডান দিক থেকে শুরু করা অর্থাৎ ডান হাত ও ডান পা আগে ধোয়া সুন্নাত। দুই. মাথা আঁচড়ানো ডান দিক থেকে শুরু করা সুন্নাত। তিন. জুতা পরিধানের সময় ডান পায়ে আগে জুতা পরিধান করা সুন্নাত।


এ ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো যে কোনো সুন্দর ও ভালো কাজ ডান হাত দিয়ে করা বা ডান দিক থেকে শুরু করা উত্তম। খাওয়া, পান করা, কারো কাছ থেকে কিছু নেওয়া বা দেওয়া, মুসাফাহা ইত্যাদি কাজ ডান হাতে করা মুস্তাহাব। কাপড় পরিধান করা, মসজিদে প্রবেশ করা, গোঁফ খাটো করা, মাথা মুণ্ডানো, নামাজে সালাম দেওয়া ইত্যাদি কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা মুস্তাহাব। এর বিপরীত কাজগুলো বাম হাতে বা বাম দিক থেকে শুরু করা ‍মুস্তাহাব। ইস্তেনজা, নাক পরিস্কার করা বাম হাতে করা মুস্তাহাব। বাথরুমে প্রবেশ করা, মসজিদ থেকে বের হওয়া, জামা খোলা ইত্যাদি কাজগুলো বাম দিক থেকে শুরু করা মুস্তাহাব।


২. এ হাদিস থেকে বোঝা যায় গোসল করার সময় শরীরের ডান দিক থেকে শুরু করা সুন্নাত। এ ব্যাপারে ফোকাহায়ে কেরামের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। চার মাজহাবই এটাকে মুস্তাহাব বলে। ইমাম নববী (রহ.) গোসলের সুন্নাত উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, গোসলের অন্যতম সুন্নাত হলো ডান দিক থেকে শুরু করা, প্রথম ডান পাশে পানি ঢালা, তারপর বামপাশে পানি ঢালা। এটা মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত। উম্মে আতিয়্যা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, নবিজি (সা.) তার মেয়ের গোসলের ব্যাপারে তাদের বলেছিলেন, তোমরা তার ডান দিক থেকে এবং ডান দিকের অজুর অঙ্গগুলো থেকে গোসল করানো শুরু করবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)


৩. এ হাদিস থেকে বোঝা যায় জীবনে সব ব্যাপারেই ইসলামি শরিয়তের দিক-নির্দেশনা ও বিধান রয়েছে। যে বিষয়গুলোকে সাধারণত মানুষ তেমন গুরুত্ব দেয় না, সেই সব বিষয়েও শরিয়তের নির্দেশনা মেনে ও নবিজিকে (সা.) অনুসরণ করে সওয়াব অর্জনের সুযোগ রয়েছে।