জান্নাতে যাওয়ার মূলধন হল কি জেনে নিন!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২৯শে নভেম্বর ২০১৯ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
জান্নাতে যাওয়ার মূলধন হল কি জেনে নিন!

হাসরের দিন বান্দার যেসব আমল জান্নাতে যাওয়ার মূলধন হিসেবে বিবেচিত হবে তার মধ্যে নামাজই হলো প্রধান। নামাজকে বলা হয় জান্নাতের চাবি। এ চাবি অর্জনে শুদ্ধভাবে নামাজ আদায়ে যত্নবান হতে হবে। হাসরের দিন বান্দার যেসব আমল জান্নাতে যাওয়ার মূলধন হিসেবে বিবেচিত হবে তার মধ্যে নামাজই হলো প্রধান।হাসান বসরী (রহ.) বলেন: ওহে আদম সন্তান! তোমার কাছে যদি নামাজ গুরুত্বহীন হয়, তবে ধর্মের আর কোন বিষয়টি তোমার কাছে গুরুত্ব পাবে? অথচ রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: হাশরের দিন বান্দার আমল গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। সে যদি যথাযথ ভাবে নামাজ আদায় করে থাকে, তবে সাফল্য ও পরিত্রাণ লাভ করবে। আর যদি নামাজ ত্রুটিপূর্ণ হয়, তবে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বান্দার ফরজ নামাজে কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে আল্লাহ বলবেন, দেখ তো বান্দার কোনো নফল আমল আছে কিনা? যদি পাওয়া যায় তবে তা দিয়ে ফরজের ঘাটতি পুষিয়ে নেয়া হবে। বান্দার আর সব আমলের ব্যাপারে ও অনুরূপ ভাবে ফয়সালা করা হবে।—তিরমিজি।

অত এব সবার উচিত যত পারা যায় বেশি বেশি নফল এবাদত করা, যাতে ফরজের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায়। সর্বশক্তিমান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, হাঁটু পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা স্মরণ কর, যেদিন তাদেরকে সেজদা করতে আহ্বান জানানো হবে, তারা সেজদা করতে সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি নিম্নগামী হবে, তারা অপমান ও লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে, অথচ তারা যখন সুস্থ অবস্থায় ছিল, তখন তাদের সেজদা করার জন্য আহ্বান জানানো হতো। (কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি)। —সূরা আলকলম : ৪২, ৪৩।এ আয়াতে হাশর দিনের অবস্থা বুঝানো হয়েছে। তাদের চেহারায় তখন অনুশোচনা অবমাননার ছাপ প্রকাশ পাবে। অথচ ইহজীবনে তাদের নামাজের জন্য ডাকা হতো। এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ইবরাহিম তামীমী বলেন: আজান ও একামতের মাধ্যমে তাদের ফরজ নামাজের জন্য ডাকা হতো।

সাঈদ বিন মুসাইয়িব বলেন: তারা হাইয়্যা আলা’চ্ছালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আ’লাল ফালাহ’ শুনত, কিন্তু সুস্থ সবল অবস্থায় থাকা সত্ত্বে ও জামাতে উপস্থিত হতো না। হযরত কা’বে আহবার (র.) বলেন: আল্লাহর শপথ! এ আয়াতটি শুধুমাত্র নামাজের জামাতে বর্জনকারীদের প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে।এ থেকে বোঝা যায়, শক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বে ও কোনো বিশেষ কারণ ছাড়া নামাজের জামাতে শামিল না হওয়ার পরিণতি কত ভয়াবহ। মহান আল্লাহ তাবারাকাহ ওতায়ালা আমাদের সকলকে সময় মতো জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।