রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ২ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে ভাঙন শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা বিলীন হয়েছে।ভাঙন প্রতিরোধে বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিও ব্যাগ ফেলছে। দুটি প্রতিষ্ঠান চারটি স্থান নির্ণয় করে জিও ব্যাগ ফেলছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মজিদ শেখের পাড়ায় পাউবো ট্রলার থেকে বালু ভর্তি করে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছে। এদিকে ভাঙন কবলিত আশপাশের অসহায় লোকজন এখনো ভাঙন–আতঙ্কে অন্যত্র ঘরবাড়ী ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছে। এদিকে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগেভাগে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে এত বড় ক্ষতি কখনো হতো না।
দৌলতদিয়া ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে নিমিষেই পদ্মার ভয়াল গ্রাসে ৮টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ৮ টি পরিবারের কেউ কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। ভাঙনের ভয়াবহতা দেখে ৪০টি পরিবার ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছে।
যে সমস্ত পরিবার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অনেকেই দৌলতদিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙন রোধে যদি সরকার কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ না করে তবে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের কারণে মানচিত্র থেকে হয়ত দৌলতদিয়া ঘাটের নাম মুছে যাবে। উল্লেখ্য, হঠাৎ পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে পদ্মার বুকে বিলীন হয় ১০টি ঘরবাড়ি ও ১৫০ মিটার এলাকা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।