বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারগণ কর্তৃক নবজাগরণী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এন.এস আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র দুটিতে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে সূক্ষ কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার দাবী জনিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ গোলাম কবির মামুন।
আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকাল তিনটায় নগরীর ফিসারী রোডস্থ মিরা বাড়ি নিজ বাসভবনে বসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, বিসিসি ২৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের উপ-নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী জাহিদ হোসেন রুবেলের ভ্রাতা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কার্যলয়ে কর্মরত উপ-সচিব কামরুল হাসান রাসেল তার পক্ষে প্রকাশ্য কেন্দ্র দুটিতে উপস্থিত থেকে বেআইনীভাবে ঢুকে এবং উভয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের যোগ-সাজসে তাদের সাথে ষড়যন্ত্র ও সূক্ষ কারচুপিে আশ্রয়ের মাধ্যমে ভোটের রেজাল্ট সিট পরিবর্তন করেন।
এমনকি আমার লাঠিম মার্কার এজেন্টদের ভোট গনণার সময় কেন্দ্র থেকে রেজাল্ট সিটে স্বাক্ষর না নিয়ে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা পর পরিকল্পিতভাবে ও অণ্যায়ভাবে আমার লাঠিম মার্কাকে পরাজিত দেখিয়ে ঘুড়ি মার্কা প্রার্থী সচিব কামরুল হাসান রাসেলের ভাই জাহিদ হাসান রুবেলের ঘুড়ি মার্কাকে বিজয়ী ঘোষনা করেন।
তিনি অরো অভিযোগ করে বলেন, ঘুড়ি মার্কা প্রার্থী এবং তার আপন ভগ্নিপতি জিয়াউল হক সুমন যিনি ডি.জি.এফ,আই অফিসার এর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেও নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব খাটিয়েছেন।
তিনি বলেন ঘুড়ি মার্কা প্রার্থীর আপন রক্তের আত্মীয় এতিমখানা ও এন.এস.আলিয়া মাদ্রাসার প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ মাসুম বিল্লাহ এবং নবজাগরণী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আমিনুল ইসলাম উভয় কেন্দ্রের রেজাল্টসিট পরিবর্তন করে প্রার্থীর ভাই সচিবালয় কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম রাসেলের সাথে একত্রিত হয়ে দূর্নীতি ও সূক্ষ কারচুপির মাধ্যমে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে ঘুড়ি প্রতিকের প্রার্থীকে অবৈধভাবে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।
তিনি উক্ত কেন্দ্রে দুটিতে পুণ:নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবী জানিয়ে ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি আরো বলেন, "আমার প্রতিপক্ষরা অবৈধ প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে আমার বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আমার লোকজনকে আনন্দ-উল্লাস করে মারধর জখম করিয়া আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুটি মামলা দায়ের করে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন ও কর্মীদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। আমি দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানাই"।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ড (অবঃ) সহকারী পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক একে আজাদ ফারুক, স্থানীয় সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় ব্যবসায়ী কাউসার আহমেদ ও মোঃ হারুন অর রসিদ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।