পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় হোপ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে প্রসবজনিত ফিস্টুলা সনাক্তকরণ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার (২৬ ডিসেম্বর ২০২১ইং ) সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা বলিটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রসবজনিত ফিস্টুলা সনাক্তকরণ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নুপুর কান্তি দাশ। অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্হ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খায়রুল আলম, মোঃ আজমুল হুদা,প্রজেক্ট ম্যানেজার হোম ফাউন্ডেশন, বাবুল কান্তি চৌধুরী প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর, ডাঃ লিজা, ডাঃ জিসান, হোপ হাসপাতাল, ববিতা চাকমা জেলা কো-অর্ডিনেটর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন,বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত প্রসবের কারণে মূলত বেশির ভাগ প্রসবজনিত ফিস্টুলার সৃষ্টি হয়। বিলম্বিত প্রসবের সময় বাচ্চার মাথা ৩ থেকে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যোনিপথে আটকে থাকলে পেছনের ও সামনের দুই হাড়ের মাঝের আশপাশের মাংসপেশি, যেমন: মূত্রথলি ও কোনো কোনো সময় পায়ুপথে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই সব মাংসপেশিতে পচন ধরে এবং শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সেখানে ছিদ্র হয়ে ফিস্টুলার সৃষ্টি হয়। যার ফলে মাসিকের রাস্তা দিয়ে অনবরত প্রস্রাব-পায়খানা ঝরতে থাকে।
প্রসবজনিত ফিস্টুলার জন্য উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে: বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত প্রসব, অদক্ষ দাইয়ের হাতে সন্তান প্রসব, প্রসূতির পুষ্টিহীনতা, ঘন ঘন সন্তান প্রসব, পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ না করা, বাড়িতে সন্তান প্রসব।পারিবারিক ও সামাজিক কুসংস্কার এবং অহেতুক লজ্জার কারণে অনেক ফিস্টুলা রোগীই নিজেকে লুকিয়ে রাখেন। যার ফলে বঞ্চিত হন চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসেবা থেকে। এই সব ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করার জন্য প্রসবজনিত ফিস্টুলার লক্ষণগুলোর ওপর মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ও জনগণকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। হোপ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চার জন সেবাগ্রহনকারীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব ও খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নুপুর কান্তি দাশ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।