হিলি বন্দরে রাস্তাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: সোমবার ২৪শে জানুয়ারী ২০২২ ০২:৫৯ অপরাহ্ন
হিলি বন্দরে রাস্তাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক নির্মানসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১ টায় হাকিমপুর প্রেসক্লাবে অরাজনৈতিক সংগঠন হিলি-হাকিমপুর নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এই সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শামছুল হুদা খান সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি।


এই বন্দর থেকে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকে। কিন্ত রাস্তা ঘাটের বেহাল অবস্থা। বন্দরের রাস্তাগুলো দিয়ে আমদানি রফতানি পন্যবাহী হেভীওয়েট ট্রাক চলাচলেন কারণে শহরের প্রান প্রধান রাস্তাগুেেলা চলাচলেন অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এতে করে রাস্তা ব্যবহারকারী পথচারী সাধারন মানুষ, ব্যবসায়ী, রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী শিক্ষক এ্যাম্বুলেন্স সহ জরুরী কাজে যানবাহন চলাচলে সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাংগাচুরা রাস্তা আর ফুটপাত দখলের কারণে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। ফলে প্রানহানী ও বড় ধরনের দুঘটনা ঘটছে। হিলি- হাকিমপুরের শেষ সিমানা থেকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি রাস্তাটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।


অথচ হিলি হাকিমপুরের মহিলা কলেজ চেকপোস্টের জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তাটির কোন রকম কাজকর্ম পরিলক্ষিত হচ্ছে না।এছাড়াও হিলি রেলস্টেশনের উপর দিয়ে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী,পঞ্চগড় ও নীলফামারী রেলপথে ২২/২৪ টি ট্রেন যাতায়াত করলেও শুধুমাত্র আন্ত:নগর বরেন্দ্র, তীতুমীর ও রকেট মেইল একমুখি ছাড়া এই রেলস্টেশনে অন্য কোন ট্রেনের যাত্রা বিরতী নেই। এ কারণে হিলিবাসী, আমদানি-রপ্তানিকারক, শিক্ষার্থী, রোগী, সরকারী কর্মকর্তা-কমচারীরা ট্রেন যাত্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতেও সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছেন।


তাই জনদূভোগ লাঘবে এবং হিলিবাসীর স্বার্থে অবিলম্বে হিলি স্থলবন্দরে জনগুরুত্বপূর্ণ সকল রাস্তার কাজ শুরু করাসহ সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতীর জন্য হিলি হাকিমপুর নাগরিক কমিটির পক্ষে থেকে সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে জনবান্ধব সরকারকে অনুরোধ ক্রমে জোর দাবী জানান।এছাড়াও হিলি- হাকিমপুর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা  কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রির প্রতিশ্রুতি মোতাবেক রাস্তা প্রশস্তকরনের জন্য ২০২০ সালে ভুমি অধিগ্রহনের জন্য ভুমি মালিকদের ৪ ধারা নোটিশ করা হয়। তারপর থেকে রাস্তার কাজ ঝিমিয়ে পড়েছে। তারা অবিলম্বে কাজ শুরু করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করার ঘোষনা দেন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, ব্যবসায়ী শ্যামল কিশোরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।