গাইবান্ধা সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে দিনভর তাণ্ডব চালিয়েছে সার্কাসের একটি হাতি। এ সময় তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রামে হাতিটি দাপিয়ে বেড়ায়। এতে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
প্রায় ৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর রোববার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মাউথ (হাতির চালক) হাতিটি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পুলিশ, হাতির মাউথ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এটি একটি সার্কাসের হাতি। হাতিটি সার্কাসে খেলাধুলার কাজে ব্যবহৃত হয়। করোনা ও রমজানের কারণে বর্তমানে সার্কাস বন্ধ রয়েছে। হাতিটিকে শনিবার (১৬ এপ্রিল) রংপুর থেকে গাইবান্ধায় নিয়ে আসে মাউথ। এরপর হাতির খাবার কেনার কথা বলে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন দোকানে চাঁদা তোলা হয়। পরে আজ রোববার সকালে গাইবান্ধা থেকে হাতিটিকে গাইবান্ধা-নাকাইহাট সড়ক ধরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এদিকে আজ সকাল ৯টার দিকে হাতিটি সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়াবাজার এলাকায় পৌঁছে। এ সময় বালুয়া বাজারে কয়েকজন তরুণ হাতিটিকে বিরক্ত করে। এতে হাতিটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মাউথ। পরে হাতিটি সড়ক থেকে উঠতি বোরো ধানের জমিতে নেমে পড়ে। এক পর্যায়ে মাউথকে ছিটকে ফেলে দেয় হাতিটি। পরে মাউথ হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে হাতিটি রামচন্দ্রপুর, একই উপজেলার সাহাপাড়া ও বল্লমঝাড় ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রামের বোরো ধানের ক্ষতি করে।
এদিকে প্রায় ৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর আজ রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বল্লমঝাড় ইউনিয়নের খামার বল্লমঝাড় গ্রামে হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় মাউথ।
চাঁদা তোলার বিষয়টি হাতির মাউথ শাকিল ইসলাম অস্বীকার করে বলেন, হাতি দেখে অনেকে খুশি হয়ে ১০-২০ টাকা দেয়। তা তারা হাতির পিছনে খরচ করেন। হাতিটিকে বাইরে আনার বিষয়ে তারা কোন মন্তব্য করেননি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মাছুদার রহমান সরকার বলেন, সার্কাসের হাতি সাধারণত এ ধরনের আচরণ করে না। সে হয়তো বেশি ক্ষুধার্ত ছিল। মাউথ হাতিটির মাথায় আঘাত করে পরিচালনার চেষ্টা করতে পারে। যে কারণে হাতিটি এ ধরণের আচরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, সার্কাসের হাতি লোকালয়ে নিয়ে ঘোরার কথা নয়। খাবার সংকট হলে হাতির মালিকেরই দেওয়ার কথা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।