নাসিরনগরের ২০০ হেক্টর জমি পানির নিচে, ঋণ শোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার ২০শে এপ্রিল ২০২২ ০২:২০ অপরাহ্ন
নাসিরনগরের ২০০ হেক্টর জমি পানির নিচে, ঋণ শোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অন্তত ২০০ হেক্টর ধানি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। গেল তিনদিন ধরে নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ার ফলে নাসিরনগর সদর, ভলাকুট, বুড়িশ্বর, গোয়ালনগর, পূর্বভাগসহ অন্তত ৬টি ইউনিয়নের হাওর এলাকার জমিগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এর ফলে কৃষকরা তাদের আধাপাকা ধান কেটে ফেলছেন।


ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নাসিরনগরের নদ-নদীগুলোতে অন্তত ২ ফুট পানি বেড়েছে। এতে করে নদী ও বিল এলাকা সংলগ্ন জমিগুলো তলিয়ে গেছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।


ভলাকুটের কৃষকরা জনান, কয়েকদিন আগে শিলাবৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার সুনামগঞ্জের পানি এসে সব ধান ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।কৃষক আলী নেওয়াজ জানান, নাসিরনগরে মেদির হাওরে তার পাঁচ কানি জমি ছিল। প্রায় সব জমি উজানে পানিতে ভাসিয়ে নিতে দেখে আধাপাকা জমি কেটে আনছেন। ফলে তার লোকসান গুনতে হচ্ছে।


ক্ষতিগ্রস্থ চারজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। তাদের অনেক কৃষক ঋণ নিয়ে জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। এখন ঋণ শোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।নাসিরনগর কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক বলেছেন, ২০০ হেক্টর জমি হয়তো তলিয়ে যায়নি, কিছু কম হতে পারে।তবে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার জমির পরিমাণ নির্ধারণ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরিতে কাজ চলছে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, উজানের পানি নেমে আসার কারণে নাসিরনগরের তিতাস নদী, বলভদ্র নদী এবং লঙঘর নদী সংলগ্ন প্রায় দুইশ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে হাওরেরে উজানের জমি এখনো সুরক্ষিত আছে।


তিনি আরও বলেন, আরও পানি বাড়লে হাওরের মারাত্মক ক্ষতি হবে। হাওর এলাকায় প্রায় ৩২ হাজার দুই হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে নয় হাজার ৩১০ হেক্টর জমি কাটা হয়ে গেছে। যা মোট জমির শতকরা উনত্রিশ ভাগ। আর আট-দশ দিন সময় পেলে সব জমি কাটা হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।