ঈদের ছুটি আরম্ভ না হলেও রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। ভোগান্তি এড়াতে আগেই কর্মজীবীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। একারণে সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে।বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ৯ টায় দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, আজ সকাল থেকেই রাজধানী থেকে আসা ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বড় গাড়ির তুলনায় ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চাপ ছিল বেশী।
এদিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। যাত্রীবাহী বাসগুলোকে ২-৩ ঘন্টা অপেক্ষা করে পেতে হচ্ছে ফেরির নাগাল।প্রাইভেটকারে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া যাচ্ছেন ব্যবসায়ী মাহাবুব হোসেন। তিনি বলেন, ঈদের ১ দিন আগে তো ব্যাপক চাপ পড়বে। সেজন্য আগেই হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি গোপালগন্জ যাচ্ছিলেন শারমিন আক্তার। তার সঙ্গে ছোট এক সন্তান। কথা হয় দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাটে। তিনি বলেন, তার স্বামী একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ঈদের ছুটি পেতে আরো ২ দিন লাগবে। সেজন্য আমি আমার দুই সন্তান কে নিয়ে ভিড় শুরুর আগেই বাড়ি যাচ্ছি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই যাত্রী ও ব্যাক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে। অনেক পরিবারই আজ থেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে ছোট গাড়ির চাপ বেশি। তবে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই তারা নদী পার হতে পারছেন। বর্তমানে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট-বড় ২০টি ফেরি চলাচল করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।