নেছারাবাদে স্কুল শিক্ষার্থীকে নির্মম বেত্রাঘাত !

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ হাবিবুল্লাহ মিঠূ, উপজেলা প্রতিনিধি নেছারবাদ- পিরোজপুর
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৩ই মে ২০২২ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
নেছারাবাদে স্কুল শিক্ষার্থীকে নির্মম বেত্রাঘাত !

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় পঞ্চ গ্রাম সম্মিলনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানের এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের জয় মজুমদার(১৪) নামে ৮ম শ্রেনির এক ছাত্র। বিদ্যালয়ে ন্যাশনল এনথেম(জাতীয় সংগীত) করার সময় অমনোযোগীর অভিযোগে ওই ছাত্রকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাইদুর রমানের। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল শুরুর সময় ন্যাশনল এনথেমকালে এ ঘটনা ঘটে। 


শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্রটি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের সহপাঠিরা ওই ছাত্রকে কোলে করে বাড়ীতে পৌছে দেয়। ওই দিন বিকেলে ছাত্রটি ব্যাথায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। জয় মজুমদার উপজেলার সারেংকাঠি ইউনিয়নের বিষ্ণুকাঠি গ্রামের নিতাই মজুমদারের ছেলে।


শিক্ষার্থী জয় মজুমদারের পিতা নিতাই মজুমদার বলেন, আমি কাজের জন্য দূরে গিয়ে ছিলাম। ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়ীতে আসি। তিনি বলেন, তার ছেলে কিছুদিন পূর্বে একটা দূর্ঘটনার শিকাড় হয়েছিল। বিদ্যালয়ে ন্যাশনল এনথেমের সময় তার পায়ের ক্ষত স্থানে একটা মাছি বসে। এসময়, শিক্ষক সবাইকে পতাকা স্যালুট করতে বললে পতাকা স্যালুট দিয়ে তার ছেলে ক্ষতস্থানে চুলকানির কারনে দ্রুত পা নামিয়ে ফেলে। এতে প্রধান শিক্ষক রাগন্মিত হয়ে মাঠে বসেই বেত দ্বারা ছেলেকে এ্যালোপাথাড়ি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেয়। এখন পর্যন্ত তার ছেলে উঠে দাড়াতে পারছেনা বলে অভিযোগ করেন নিতাই মজুমদার। ছেলের অবস্থা বেশি খারাপ শুনে তিনি শুক্রবার(১৩ মে) সকালে এসে তার ভুল স্বিকার করেছেন। এখন আমার ছেলের চিকিৎসার প্রয়োজন। ছেলে ব্যাথায় এখন পর্যন্ত উঠে দাড়াতে পারছেনা।


অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি না বুঝে ছেলেকে একটু বেশি মেরেছি। আমার ভুল হয়েছে।ন্যাশনল এনথেম করার সময় জয় অমনযোগী ছিল। তাই তাকে মারা হয়েছে।


বিদ্যালয়ের কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সায়েম বলেন, শিক্ষক বুজতে পারিনি। আসলে একটু বেশি মারা হয়েছে। আমরা বাড়ীতে এসে শিক্ষার্থী জয় মজুমদারের বাবাকে ওর চিকিৎসা করাতে বলেছি। এতে যা খরচ হয় আমরা দেখব।


নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মোশারেফ হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জেনে দুই জন শিক্ষক ও ওই ছাত্রের পিতার সাথে কথা বলে ছেলেটি উপযুক্ত চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ্য করতে বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে বিষয়টি ভাল করে জেনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য        উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।