দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে নাসিম আহমেদ নামের এক কৃষকের সাড়ে ৭০শতাংশ জমি নিজেদের দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হিলি ১১ আনসার ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে। জমিতে যাওয়া থেকে শুরু করে চাষাবাদ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কৃষককে। এদিকে জমি দখলমুক্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক, রংপুর রেঞ্জ অধিনায়ক, হিলি-১১আনসার ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নিকট আবেদন করেও কোন প্রতিকার মিলছেনা বলে অভিযোগ করেছেন সেই কৃষক।
নাসিম আহমেদ নামের ওই কৃষক বলেন, হিলি-১১আনসার ব্যাটালিয়নের অভ্যন্তরে আমার নিজনামীয় এক খন্ড জমি রয়েছে। যাহার দাগ নং ১৮৪, খতিয়ান নং ১৪২৭, জেএলনং ৭০, জমির পরিমান সাড়ে ৭০ শতাংশ, মৌজা হাকিমপুর, উক্ত জমিতে চাষাবাদের ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য হিলি আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বরাবর গত ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী ও একই বছরের ৯মার্চ দুটি আবেদন জমা দেয়। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত আমাকে সেই জমিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছেনা অথচ ব্যাটালিয়ন চতুর্দিকে বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়ার সময় আমি ও আমার চাচা জমি দাতা সেই কাজে বাধা দিলে সে সময়ের দায়ীত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন,
যে আপনাদের জমিতে যাতায়াত ও চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবেনা। কিন্তু বর্তমানে আমি সেই জমিতে যেতে চাইলে যাওয়ার রাস্তায় বাধা দেওয়া হয় এবং সেই সাথে জমিতে না যেতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করা হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা বলিলে দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ডেকে নেওয়া হবে বলে জানান। কিন্তু অত্যান্ত দু:খের বিষয় আজ অবধি বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কোন উদ্যোগ গ্রহন করতে দেখা যায় নি। যার কারনে আমি অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতির সন্মুক্ষিন হচ্ছি।
হিলি-১১ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ইয়াছিন আরাফাত বলেন, আমরা তার চিঠি পাওয়ার সাথে সাথে সেটি হেডকোয়াটারে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে স্টেপসেল এর একটি টিম আসবে। যারা কিনা এই কাগজপত্র ও রেজিষ্ট্রির সবকিছু বিষয় দেখতে সার্ভেয়ারসহ আসবে আশা করি ওই টিম আসলে এর সমাধান হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।