পুলিশের ‘ভুলে’ বিয়ে করে কারাগারে প্রবাসী !

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১২ অপরাহ্ন
পুলিশের ‘ভুলে’ বিয়ে করে কারাগারে প্রবাসী !

দুটি মামলায় ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয় কাতার প্রবাসী শিপন মিয়াকে। তাকে কারাগারে পাঠানোর পর তার স্বজনরা মামলার সংশ্লিষ্ট আদালতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আদালতে শিপনের নামে কোনো মামলাই নেই।


একটি চক্র ভুয়া ওয়ারেন্ট তৈরি করে তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ভুয়া ওয়ারেন্ট যাচাই-বাছাই না করেই ২৬ আগস্ট শিপনকে গ্রেফতার করে। কাতার প্রবাসী শিপন মিয়া মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের ইসলামনগর গ্রামের বাসিন্দা।



দুটি মামলায় ১৩ দিন কারাবাস করে গত ৬ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। মৌলভীবাজার ৫নং আমলি আদালতের বিচারক তাকে জামিন দেন। আদালত জানান, যে ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি ভুয়া ছিল। পুলিশের কোনোরকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ফলে তাকে কারাবাস করতে হয়েছে।


প্রবাসী শিপন মিয়া বলেন, বিয়ের ১০ দিন পর পুলিশ ভুয়া ওয়ারেন্ট নিয়ে আমাকে গ্রেফতার করে। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে অনেক অনুরোধ করেছি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আমাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য। তিনি আমাকে সময় না দিয়ে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেন। এতে আমি সামাজিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।


ক্ষতিপূরণসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আমার আছে কি?


তিনি আরও বলেন, একটি মহল আমাকে হয়রানি করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে ভুয়া ওয়ারেন্ট তৈরি করেছে। এদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে হয়তো আগামীতে কোনো নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার হবে না।


আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজী জানান, সদ্য দেশে আসা কাতার প্রবাসী মো. শিপন মিয়াকে কুলাউড়া থানা পুলিশ ২৬ আগস্ট গ্রেফতার করে। যে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট মূলে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন সেই মামলার এজাহার, এফআইআর ও চার্জশিটে আসামির নাম ও ঠিকানা নাই। সংশ্লিষ্ট মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল, সিলেট আদালতে খোঁজ নিয়ে এ ধরনের কোনো মামলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ভুয়া ২টি মামলা দেখানো হয়েছে। যারা ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। পুলিশ প্রশাসনের উচিত ছিল ওয়ারেন্টে কপির সত্যতা যাচাই করে আসামিকে গ্রেফতার করা।