গোয়ালন্দে প্রতিমা তৈরি শেষে চলছে রং তুলির আঁচড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা, জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
গোয়ালন্দে প্রতিমা তৈরি শেষে চলছে রং তুলির আঁচড়

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রতিমা তৈরিতে শেষ মুহূর্তে চলছে কারিগরদের ব্যস্ততা। উপজেলার ২৩টি মণ্ডপে দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। এসব প্রতিমায় এখন শিল্পীদের রং তুলির শেষ আঁচড় চলছে। শনিবার (২৪সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি পূজা মণ্ডপে এমনি চিত্র দেখা গেছে।


আগামী পহেলা অক্টোবর মহাসপ্তমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ১ অক্টোবর পূজা শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।


পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজকরা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এরপরও থেমে নেই তাদের আয়োজন। রকমারি আলোকসজ্জার বর্ণালী বাহারে সাজানো হচ্ছে পূজা মণ্ডপ ও তার আশপাশ এলাকা। হাতে আছে আর মাত্র কয়েক দিন।সনাতন ধর্ম মতে, দেবী দুর্গা অসুর দমনের শুভ শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্যই দশ হস্তে দেবী দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আগমন করেছিলেন।


এরই ধারাবাহিকতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষগুলো প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে।  অপরদিকে পরিবার পরিজনের জন্য কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। জামা কাপড় তৈরি, কেনা-কাটায় সরগরম শহরের বিপণী বিতানগুলোতে। শারদীয় দুর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে চারপাশে চলছে এখন উৎসবের আমেজ।


উপজেলার কয়েকটি পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, কাদা মাটি, বাঁশ, খড় ও সুতলি দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। বিভিন্ন মন্দিরে একেক জন কারিগর দুর্গা পূজা শুরুর ১০দিন থেকে ১৫দিন আগে থেকেই প্রতিমা তৈরিতে সময় নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দক্ষ কারিগররা উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে শুরু করেন এসব প্রতিমা বানানোর কাজ। ইতিমধ্যে অধিকাংশ পূজামণ্ডপের প্রতিমা তৈরির মাটির প্রধান কাজ শেষ হয়েছে। এখন কারিগররা তাদের নিপুণ হাতের প্রতিমা রং করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।


গোয়ালন্দ উপজেলা পূজা উৎপাদন কমিটির সভাপতি বিপ্লব ঘোষ বলেন, মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। এবার উপজেলায় ২৩টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হবে। এই উপজেলায় বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হয়। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না বলে জানান তিনি।


গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, দুর্গোৎসব সফল করতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন পূজা উদযাপন কমিটির সাথে বৈঠক করছেন। পূজায় নিরাপত্তায় উপজেলার ইউনিয়ন ভিত্তিক ও মণ্ডপ ভিত্তিক টহল টিম গঠন করা হয়েছে। শারদীয় দূর্গা পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।