গোয়ালন্দে ১০২ বীর মুক্তিযোদ্ধা পেলেন ডিজিটাল সার্টিফিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা, জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
গোয়ালন্দে ১০২ বীর মুক্তিযোদ্ধা পেলেন ডিজিটাল সার্টিফিকেট

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।


গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এই ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মুন্সী, পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ,  উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আশরাফুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল হক শামীম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার।


অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ মোল্লা, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রহমান মন্ডল, ছোট ভাকলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেনসহ উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা প্রমুখ।


মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও নিজের ছবি সম্মিলিত স্মার্ট আইডি কার্ড স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও সম্মান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনুভূতিকে প্রকাশ করেন।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনসহ বিভিন্ন সম্মাননার সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। এ সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন ও সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। জীবিত ও মৃত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রইলো আমার অশেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। পরিশেষে আমি বলতে চাই আপনারা সকলেই শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। আমি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাই।


অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দুদুখান পাড়া সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসরিন আক্তার ইতি।


উল্লেখ্য, গোয়ালন্দ উপজেলার তালিকাভুক্ত ১০২ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৪ জন জীবিত রয়েছেন এবং ৪৮ জন মারা গেছেন। মোট ১০২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের হাতে এমপি কাজী মেরামত আলী নিজ হাতে মুক্তিযোদ্ধা ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড তুলে দেন।