কৃষিবিদ মাহাবুবার রহমান বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকে ভূষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোস্তাকিম হোসেন, উপজেলা প্রতিনিধি পাঁচবিবি- জয়পুরহাট
প্রকাশিত: রবিবার ১৬ই অক্টোবর ২০২২ ০৫:১৮ অপরাহ্ন
কৃষিবিদ মাহাবুবার রহমান বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকে ভূষিত

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহাবুবার রহমান"কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজ" এ অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকে ভূষিত হয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে কৃষি মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অথিতির হাত থেকে এ পুরুস্কার গ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে তিঁনি রংপুর জেলায় এডিশনাল ডেপুটি ডাইরেক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।  


জানা যায়,প্রতি বাংলা বছরে কৃষি সংশ্লিষ্ট ১০ টি ক্যাটেগরিতে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার বোর্ড অফ ট্রাস্টের সম্মিলিত যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে পুরুস্কারের জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়। সেখানে ১৪২৬ বাংলা বছরে "কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজ" এই ক্যাটেগরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার হিসেবে এ পুরুস্কার পান তিনি। 


কৃষিবিদ মাহাবুবার রহমান দিনাজপুরের বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার হিসাবে কৃষক উদ্ধৃত্তকরণের মাধ্যমে বানিজ্যিক কৃষি তথা পরিবেশ সংরক্ষণ মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তার একক প্রচেষ্টায় বিরলে লতিরাজ কচুর চাষ শুরু হয় এবং কৃষকরা প্রতি বিঘা জমিতে ৪০/৪৫ হাজার টাকা উর্পাজন করছেন। 


তিনি ব্যাগিং এর মাধ্যমে আম ও কলা উৎপাদন, রাস্তার পাশে ৬ হাজার ৫ শ টি তাল বীজ রোপণ, ৩ হাজার ছাত্র/ছাত্রীর মাঝে পুষ্টিবিষয়ক জনসচেনতামূলক সভা, ৩ হাজার ৫শ লিচু উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীকে নিরাপদ লিচু সরবরাহের পরামর্শমূলক সভা,লিচু বাগানে ৭ হাজার ৯শ মৌ বক্স স্থাপন, স্কোয়াসের চাষ বৃদ্ধি, বালাইনাশক স্প্রেম্যানদের সার্বিক ডোজ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সর্ম্পকে ধারনা প্রদান,পাচিং এবং ভার্মিকম্পোষ্টসহ ইত্যাদি কাজ করেন। 


কৃষিবিদ মোঃ মাহাবুবার রহমান কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ছিলাখানা গ্রামের জন্ম গ্রহণ করেন।তিঁনি ১৯৯৩ সালে এসএসসি এবং পরবর্তিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ থেকে কৃতিত্বের সাথে কৃষিতে অনার্স এবং মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেন। এর পর প্রায় ২ বছর একটি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসাবে চাকুরী করে। 


পরবর্তীতে ২৭ তম বিসিএসে উত্তীর্ন হয়ে ২০০৮ সালে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।