সরাইল বাজারে মাছ কেটে জীবিকানির্বাহ ওদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: রবিবার ২৫শে ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:১৫ অপরাহ্ন
সরাইল বাজারে মাছ কেটে জীবিকানির্বাহ ওদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরাইল উপজেলায় এখন বাজার থেকে মাছ কিনে বাজারে মাছ কাটার দৃশ্য সবার দেখা।একটা সময় ছিল যখন নদী থেকে ধরা হোক আর বাজার থেকে আনাই হোক, ঢাউস সাইজের মাছ ঘরে নিয়ে আসার পর হুলুস্তুল পড়ে যেতো, সবাই মিলে মাছ কাটা উপভোগ করতো।


 এটি ছিল গ্রামবাংলার অন্যতম ঐতিহ্যের একটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে শহর জনপদে মাছ কাটা আর তেমন কোন উপভোগ্য বিষয় নয়। ক্রয়-কৃত মাছ বড় হওয়া তো দুরের কথা ছোট হলেও চাকুরীরত দম্পতিদের বাসায় মাছ কাটাকুটি একটা বিরক্তিকর বিষয়। তাই শহর বা শহরতলীর বেশিরভাগ বাসিন্দারাই মাছ কিনে বাজার থেকেই কাটাকুটির ঝামেলা সম্পন্ন করে আনেন। 


দেশের বড় বড় শহরে মাছ কাটাকুটি একটা পেশা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদিও এ পেশায় নিয়োজিতরা খুব কমই আয় করে থাকে। প্রচলিত বাজারদর অনুসারে প্রতি কেজি টেংরার জন্য গড়ে ৪০টাকা, রুইজাতীয় মাছসহ পাঙ্গাশের জন্যে ২০টাকা, বড় আকারে মাছ প্রতিটির জন্য ৫০-২০০ টাকা ইত্যাদি। 


কোন অনুষ্ঠানে চুক্তিতে কাজ হলে সাধারণত মন প্রতি হাজার টাকা। তবে সামান্য কিছু পরিমার্জন ও উন্নয়ন করা গেলে এই পেশা থেকে আয় অনেকাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেই সম্ভাবনা নিয়েই আজকের এই আয়োজন। 


গতকাল সরাইল উচালিয়া পাড়ার মোড়ের মাছ বাজারে মাছ কাটাকুটির সময় রতন নামে একজন, বলেন, আমরা বাজারে প্রতিদিন মাছ কাটাকাটি করে থাকি। ছোট মাছ সহ বড় মাছ পর্যন্ত আমরা সব মাছ কাটাকুটিও পরিষ্কার করে দেই। প্রতিদিন কেমন আয় জানতে চাইলে, কোনভাবে চলে কোনদিন হাজার টাকা কোনদিন ৭ শত টাকা এমন হয়, পরিবার ও বাচ্চা  নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারি কষ্ট হয় না। আগে কম হলেও এখন প্রায় সব মানুষই মাছ বাজার থেকে কাটাকুটির কাজ শেষ করে নেই। এমন করে আরও দুইজনও জানিয়েছেন যে মাছ কাটাকুটি করে আমরা ভালোই আছি।