ঘর গোছাতেই বছর পার আওয়ামী লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার ২৬শে ডিসেম্বর ২০২২ ১২:২৫ অপরাহ্ন
ঘর গোছাতেই বছর পার আওয়ামী লীগের

বিদায়ী ২০২২ সালে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাজনীতি। বিএনপির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও ঘর গোছাতেই বছর পার করেছে। বছরের শুরুর দিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও শেষের দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত দেখা গেছে দলটিকে। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা-পর্যায়ের সম্মেলনের পাশাপাশি বছরের শেষ দিকে শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে কয়েকটি বিভাগীয় সমাবেশে করেছে ক্ষমতাসীনরা।


এ ছাড়া দলের মধ্যে কোন্দল, সন্ত্রাস দমনে নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে আজকের আয়োজন।


তৃণমূলকে চাঙ্গা করতে মাঠে নেতারা :


২০২০ ও ২০২১ সাল করোনার কারণে কোনো ধরনের সম্মেলন, সভা-সমাবেশ করতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা দুর্বল হলে জনজীবন স্বাভাবিক হতে থাকে। এরপরই দল গোছানোর দিকে মনোযোগ দেয় ক্ষমতাসীন দল। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিম জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সফর করে বেশ কিছু সম্মেলন, বর্ধিত সভা ও কমিটি ঘোষণা করেছে।


এ ছাড়া তৃণমূলের কোন্দল নিরসনে আলাপ-আলোচনা, দিক নির্দেশনা দিয়ে দলকে চাঙ্গা করতে বছরজুড়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।


ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিদ্রোহীদের নিয়ে অস্বস্তি :


ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছর। এ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় আওয়ামী লীগকে। বিদ্রোহীদের দাপটে নৌকার ভরাডুবি ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।


শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ক্ষমতাসীনদের। ২৬ জেলায় চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ১৮ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৬৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধীদল বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন অনেক বিশ্লেষকরা। যার কারণে ক্ষমতাসীনদেরও অস্বস্তিতে পড়তে হয়।


সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর-নরম :


ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টিকারী, হাইকমান্ডের নির্দেশনা না মানা এবং শৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। শৃঙ্খলা ফেরাতে দল থেকে অনেককেই বহিষ্কার করা হয়। বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো দিন পদ-পদবি দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।


তবে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সুর নরম করতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শতাধিক নেতাকর্মীকে ইতোমধ্যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছ।


এ ছাড়া বাকিরাও যদি তাদের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে আবেদন করেন, তাহলে তারা ক্ষমা পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং ছাত্রলীগের সম্মেলন :


গত ২৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় মেহের আফরোজ চুমকি এবং সাধারণ সম্পাদক হন শবনম জাহান শিলা।


এ ছাড়া গত ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে যুব মহিলা লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি হয়েছেন আলেয়া সারোয়ার ডেইজি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শারমিন সুলতানা লিলির নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।


এ দিকে গত ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে, সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা না করে ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে জানানো হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। অবশেষে ২০ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের দাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।


একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক হেসেবে তানভীর হাসান সৈকতের নাম ঘোষণা করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগেরর সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাগর আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাজীবুল ইসলামকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সজল কুন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।


নির্বাচন সামনে রেখে মহাসমাবেশ :


২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি। গত ২৪ নভেম্বর যশোর, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে মহাসমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশগুলোতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।


দীর্ঘদিন পর সমাবেশে দলীয় প্রধানের সশরীরে উপস্থিতি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছে। প্রতিনিটি সমাবেশে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে বলে দাবি ক্ষমতাসীনদের।


সমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই আগামী নির্বাচনেও আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন।


এ ছাড়া গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৫০ বছর উপলক্ষে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।


১০ ডিসেম্বর ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতি :


‘১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চলবে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নির্দেশে’ বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের এক বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সবের মধ্যেই ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা যেকোনো মাঠে করার কথা বলা হয়। তবে, নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে অনড় অবস্থানে থাকে বিএনপি। এ নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যেই গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে একজনের মৃত্যু এবং অনেকেই আহত হন।


এরপর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাসহ বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন বিকেলে সমাবেশের স্থান নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ফের বৈঠকে হয়। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের করতে চাইলে অনুমতি পায় বিএনপি।


তবে, বিএনপির সমাবেশ থেকে যেন কোনো ধারনের জ্বালাও পোড়াও না হয় সেজন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেন। তার এমন নির্দেশনায় রাজধানীর প্রতিটি মোড়ে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। যদিও শেষপর্যন্ত সমাবেশ থেকে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ ১০ দফা দাবি জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষে করে বিএনপি।


আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন :


১৯৪৯ সালের ২৩ থেকে ২৪ জুন রোজ গার্ডেনে আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মাওলানা ভাসানী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত হন। তবে, ১৯৫৩ সাল থেকে পরবর্তী ১৩ বছরে শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক থাকার সময়টিতে আওয়ামী লীগ শক্ত ভিত্তি পেতে শুরু করে। মূলত, ওই সময়েই বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করেছিল।


বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও আওয়ামী লীগে শক্ত ভিত্তি তৈরি হয়। তাই সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প অন্য কাউকে ভাবছে না দলটির নেতাকর্মীরা। ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। গত ২৪ ডিসেম্বর দলটির সর্বশেষ ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা।


এ দিকে সম্মেলনের আগে সাধারণ সম্পাদকের পদে পরিবর্তন নিয়ে নানাগুঞ্জন ছিল। যদিও অনেকের বিশ্বাস ছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ঠিক হলেও তাই। আওয়ামী লীগের ৭৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হয়ে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।


সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, শ্রী পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, শাজাহান খান এমপি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিমিন হোসেন রিমি।যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিতরা হলেন ড. হাছান মাহমুদ এমপি, মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি এমপি।


এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক পদে ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ড. শাম্মী আহমেদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক পদে ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক পদে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে জাহানারা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।


পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক পদে শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. সিদ্দিকুর রহমান, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে শ্রী অসীম কুমার উকিল এমপি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক পদে ডা. রোকেয়া সুলতানা নির্বাচিত হয়েছেন।


সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিতরা হলেন আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী। এছাড়া উপ-দফতর সম্পাদক হয়েছেন সায়েম খান।


যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক এই তিনটি পদ খালি রয়েছে। এ ছাড়া প্রেসিডিয়াম সভায় সদস্যদের নির্বাচিত করা হবে।এ দিকে ২০২২ সাল আওয়ামী লীগের সাফল্যের বছর ছিল বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, এ বছরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন, কর্ণফুলী টানেল, ১০০টি ব্রিজ এবং অর্থনৈতিক জোন হয়েছে। এ ছাড়া এ বছরই মেট্রোরেলের উদ্বোধন হবে।


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, করোনার সংকট মোকাবিলা, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, অর্থনীতিতে মন্দাভাবের মধ্যেও বছরটি সাফল্যের বছর ছিল। সবকিছু মিলিয়ে ২০২২ সাল শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্যের বছর হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।