দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে আবারও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এতে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে।শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ৬১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট ছেড়ে যায় এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামের দুটি জাহাজ।সবকিছু ঠিক থাকলে দুপুর ১২টার দিকে সেন্টমার্টিনে পৌঁছাবে জাহাজ দুটি। সেখানে পর্যটকদের বরণ করার জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও বাসিন্দাদের অনেকেই ফুল নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
সেন্টমার্টিন বিচ ইকো রিসোর্ট ও সেন্টমার্টিন কচ্ছপ বিচ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন শুভ বলেন, দীর্ঘদিন পরে এ রুট দিয়ে আসা পর্যটকদের বরণ করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের এক বৈঠকে জাহাজ চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়।
জাহাজ সংশ্লিষ্টরা জানান, নাফ নদীর নাব্যতা সংকট ও নদীতে একাধিক চর জেগে ওঠার তথ্য পেয়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে আয়োজিত এক সেমিনারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ফলে অক্টোবর থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও তিন মাস জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দাসহ হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিক এবং এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজে দায়িত্বরতদের মধ্যে হতাশা ও দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। পরে তারা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন করে জাহাজ চালুর দাবি জানান। অবশেষে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ফিটনেসসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র হালনাগাদ থাকা সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। সব কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারায় প্রথম দিন এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামে দুটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি পায়।এ ছাড়া শনিবার থেকে কেয়ারি সিন্দবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনিংসহ পর্যায়ক্রমে অন্য জাহাজগুলোও চলাচল করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।