সড়কে ধুলোবালি, দুর্ভোগে কয়েক লক্ষ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস এম তারেক হোসেন, জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৩ই জানুয়ারী ২০২৩ ০৩:০৩ অপরাহ্ন
সড়কে ধুলোবালি, দুর্ভোগে কয়েক লক্ষ মানুষ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী থেকে কাজিপুর সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ভাঙ্গাচোরা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে মানুষের জীবন। একসময় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। 


পরবর্তীতে গেল বছরে সড়কটি নতুন করে সংস্কার কাজের অনুমোদন হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারীতে কাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের ১ বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটির শতভাগ কাজ এখনো সম্পুর্ন হয়নি। বালি আর ইটের খোয়া দিয়ে ডলা হলেও মাসের পর মাস পেরিয়েছে তবুও কার্পেটিং কাজ শুরু হয়নি এখনো। যার ফলে সড়কটিতে ধুলোবালি উড়ে সীমাহীন সমস্যার মধ্যে রয়েছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। 


কার্পেটিং না হওয়ার কারণে ধুলোবালি উড়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্নতা ঘটাচ্ছে। সড়কটিতে চলাচলকারী পথচারীরা এবং বামন্দী-নিশিপুর থেকে হাড়াভাঙ্গা পর্যন্ত বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের যেন বেদনার শেষ নেই। ধুলোবালি উড়ার ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


প্রচন্ড ধুলাবালির কারণে স্থানীয়রা মটরের পানি দিয়ে রাস্তা ভেজাচ্ছে বিগত কয়েক মাস ধরে। ধুলোবালিতে গাছগাছালি বিবর্ণ আকার ধারণ করেছে। কার্পেটিং কাজ না হওয়ার ফলে সড়কটির পাশে অবস্থিত বেশকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছে। 


বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন জানান, আমাদের স্কুলের পাশের সড়কে ইটের খোয়া দিয়ে ডলা হলেও কার্পেটিং কাজ হয়নি। যার ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিতু খাতুন জানান, রাস্তায় ধুলোবালির কারণে আমাদের স্কুলে আসতে খুব সমস্যা হয়। স্কুলড্রেস নোংরা হয়ে যায় ধুলোবালিতে। 


সড়কটিতে চলাচলকারী পথচারী জাহিদ হাসান বাদল জানান, আমি প্রতিদিন ব্যবসার সূত্রে নতুন ব্রজপুর থেকে বামন্দী যায়। রাস্তায় কার্পেটিং না হওয়ায় প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে। বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও বালিয়াঘাট গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, ধুলোবালি উড়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েকলক্ষ মানুষকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্পেটিং কাজ শুরু করা প্রয়োজন।


গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজকে চাপ দেওয়া হয়েছে। পাথর নিয়ে এস আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করবে এবং শতভাগ সঠিক কাজ বুঝে নেওয়া হবে।