উকিল সাত্তারের কর্মিসভায় এক মঞ্চে আ.লীগের নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: বুধবার ২৫শে জানুয়ারী ২০২৩ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
উকিল সাত্তারের কর্মিসভায় এক মঞ্চে  আ.লীগের নেতারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইঁয়া সমর্থক গোষ্ঠী কর্মিসভা এক মঞ্চে আওয়ামী লীগের নেতারা। (২৪ জানুয়ারি) মঙ্গলবার বিকালে সরাইল উপজেলার সৈয়দ  সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে পাঁচবারের এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইঁয়ার সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত বিশাল কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সহ  আওয়ামী লীগের নেতারা।সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. নাজমুল হোসেনর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি  আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কর্মীসভার প্রধান অতিথি  আহমেদ হোসেন উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,


‘আবদুস সাত্তারের সঙ্গে তারেক জিয়ার বেয়াদবির প্রতিবাদে আমরা তাঁর (সাত্তারের) সঙ্গে আছি।’ সাত্তারকে চিনেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথম দেখাতেই ওনার প্রেমে পড়ে গেছি।’ এ সময় তিনি সাত্তারের হাত উঁচিয়ে ধরে সবার কাছে তাঁর জন্য ভোট প্রার্থণা করেন। উক্ত কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ),


উপজেলা আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বির সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, বেসরকারি শিক্ষক কল্যান ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি এড. কামরুজ্জান আনসারী, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন প্রমুখ।


উল্লেখ্য  আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভুঞাসহ চারজন প্রার্থী রয়েছেন। অন্য তিন প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী,আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি (সদ্য বহিষ্কৃত) ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ, ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল। জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে প্রচারণা শুরুর পরও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।