ভূরুঙ্গামারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ইট বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: সোমবার ১৫ই মে ২০২৩ ১০:২৯ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ইট বিক্রির অভিযোগ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ছাট গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের একটি অব্যহৃত ভবনের ইট নিলাম ছাড়াই বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।


বিদ্যালয়ের অব্যবহৃত ভবনের বিভিন্ন উপকরণ বিক্রির ক্ষেত্রে রেজুলেশন করে শিক্ষা দপ্তরকে জানানোর নিয়ম থাকলেও সেই নিয়ম মানা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো রেজুলেশন করা হয়নি। উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।


উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ছাট গোপালপুর (দেবীবাড়ি) গ্রামে ১৯২০ সালে স্থাপিত হয় ছাট গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন রাশেদা বেগম। এই বিদ্যালয়ের একটি ভবন অব্যবহৃত ঘোষণা করা হয়েছে।


অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রধান শিক্ষক রেজুলেশন না করেই নিলাম ছাড়াই বিদ্যালয়ের অব্যবহৃত ভবনের ইট গোপনে কয়েক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই ব্যক্তিরা ইট নিয়ে যেতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এলাকাবাসী এতে বাঁধা দেন।


বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আউয়াল হক বলেন, বিদ্যালয়ের অব্যবহৃত ভবনের ইট বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। এবিষয়ে কোনো রেজুলেশন হয়েছে এমনটা মনে পড়ছেনা। 


প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বিদ্যালয়ের অব্যবহৃত ভবনের ইট বিক্রি করার অভিযোগটি চক্রান্তমূলক। গত মার্চে অব্যবহৃত ভবনটির বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে একটি রেজুলেশন করা হয়েছিল যা শিক্ষা অফিসে পাঠানোর কথা ছিল কিন্তু আমি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তা আর শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়নি।


উপজেলা শিক্ষা অফিসার জ্যোতির্ময় চন্দ্র সরকার বলেন, ছাট গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিলাম ছাড়াই বিদ্যালয়ের অব্যবহৃত ভবনের ইট বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলামের নিকট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।