দেবীদ্বারে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু : এলাকায় শোকের মাতম

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: রবিবার ২৮শে এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
দেবীদ্বারে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু : এলাকায় শোকের মাতম

কুমিল্লার দেবীদ্বারে পানিতে ডুবে পৃথক ঘটনায় ৩ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭এপ্রিল) দিনব্যাপী শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় নিজ নিজ এলাকায় শোকের মাতম চলছে।


নিহত শিশুরা হল, দেবীদ্বার পৌর এলাকার বড়-আলমপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন সোহাগের পুত্র সন্তান মোঃ সালমান ফারসি(১৮মাস), বিজলীপাঞ্জার গ্রামের রং মিস্ত্রি অলিউল্লার এক মাত্র কণ্যা রাইসা(৭)। সে স্থানীয় বিজলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুরাম্পুর গ্রামের ৩ বছরের একটি শিশুকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে এসে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত জেনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথ্য না দিয়েই বাড়িতে নিয়ে যায়।


শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় দেবীদ্বার পৌর এলাকার বড়আলমপুর গ্রামের ছৈনুদ্দীন সরকার বাড়ির পুকুরে। বিকেলে ১৮মাস বয়সী শিশু সালমান ফারসি তার সাথিদের সাথে বাড়ির উঠোনে খেলা করছিল। তখন শিশুর মা গোসলখানায় গোসল করছিলো। শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পাশে পুকুরে শিশু সালমানকে পানিতে ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করে বিকেল ৫ টায় দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


নিহত শিশু সালমান ফারসি(১৮ মাস) বড়আলমপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন সোহাগের ২য় সন্তান।অপর ঘটনায় নিহত শিশুর কাকা মো. ফারুক মিয়া জানান, তার ভাইস্তি রাইসা বন্ধুদের সাথে পুকুরে গোসল করতে নামে। এক সময় তার সাথের বন্ধুরা সবাই বাড়ি ফিরলেও রাইসা বাড়ি ফিরেনি। পরে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া পুকুর পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটিকে পুকুরে ভাসতে দেখেন। সংবাদ পেয়ে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


তাছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল এসিষ্ট্যান্ট ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, আজ দুপুরে দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুরাম্পুর গ্রামের বাড়ির পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় ৩ বছরের একটি শিশুকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত জেনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেজিষ্টারে নাম ঠিকানা না দিয়েই স্বজনরা শিশুর লাশ নিয়ে বাড়ি চলে যায়।